আজকাল ওয়েবডেস্ক: সংস্থার ম্যানেজার তাঁকে ঘুরিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হননি তরুণী প্রযুক্তিবিদ। এর পরেই বিষিয়ে উঠেছে তাঁর জীবন। রেডিটে ওই তরুণী দাবি, বিদেশী ম্যানেজারের প্রস্তাব খারিজ করার পর থেকেই বেতন দেরি করা পাচ্ছেন এবং অফিস রাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ম্যানেজারের বিষাক্ত আচরণ সত্ত্বেও চাকরি ছাড়তে ইচ্ছুক নন। কারণ এই চাকরির ফলে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে পারবেন।
তরুণী রেডিটে লিখেছেন, “আমার প্রতি বসের অনুভূতি তৈরি হয়েছিল, আমি সাড়া দেয়নি... এখন আমার জীবন নরকে পরিণত হয়েছে’। পেশায় প্রযুক্তিবিদ ওই তরুণী একটি ইউরোপীয় সংস্থায় বাড়ি থেকেই কাজ করেন। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বস এই বছরের শুরুতে একটি ফোন কলের সময় তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন। সেই সময় কোনও উত্তর দেননি তরুণী। এর পর থেকেই ওই তরুণীর সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা শুরু করেছেন ম্যানেজার। তরুণীর দাবি, তাঁর বস বিবাহিত কিন্তু শীঘ্রই তাঁর বিচ্ছেদ হতে পারে।

তরুণী লিখেছেন, "আমি যখন অন্য পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলি তখন সে ঈর্ষান্বিত বা অস্বস্তি বোধ করে বলে মনে হয়, যদিও সে পাত্তা না দেওয়ার ভান করে। আমি অফলাইনে থাকাকালীন সে এলোমেলো ভাবে আমার খোঁজখবর নেয়। জিজ্ঞাসা করে যে আমি ঠিক আছি কি না বা কোনও কিছুর প্রয়োজন আছে কি না। এর ফলে আমার মধ্যে একটি অদ্ভুত আবেগের স্রোত কাজ করছে এবং এটি সত্যিই ক্লান্তিকর।"
আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম প্লেন হাইজ্যাক হয়েছিল ৭৭ বছর আগে, কারা করেছিল এই দুঃসাহসিক কাজ
তিনি আরও বলেন, "একই সঙ্গে সে আমার বেতন বিলম্বিত করেছে, আমার কাজের বাইরেও অনেক কাজ দিয়েছে এবং আমি যে কাজগুলি করিনি- যেমন প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার জন্য আমাকে দু’বার প্রকাশ্যে কথাও শুনিয়েছে। মনে হচ্ছে সে তাঁর আঘাত বা বিরক্তি প্রকাশ করার জন্য অফিসের কাজকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।"
পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও কিছু বলার পর, তিনি আরও জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে চাকরি পরিবর্তন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
তরুণীর পোস্টে একজন লিখেছেন, “তোমার জন্য সবচেয়ে ভাল কাজ হবে এখান থেকে ব্যাগ গুছিয়ে অন্য কোথাও কাজে যোগ দাও। যেহেতু সে তোমার বস, তাই POSH-কেও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে না, কারণ HR কর্মীরা কোম্পানির জন্য কাজ করে, কর্মীদের জন্য নয়। আমরা এই পৃথিবীতে কেবল খরগোশ এবং আমাদের নিজেদের স্বার্থেই কাজ করতে হবে। প্রস্তুতি শুরু করো এবং সম্ভব হলে চাকরি পাল্টে ফেলো।”
আরও একজন পরামর্শ দিয়েছেন, "কর্মক্ষেত্র এবং আদালতে মানব সম্পদ এবং যৌন হয়রানির নিয়ম থাকার একটা কারণ আছে। দয়া করে সবকিছু নথিভুক্ত করুন, একজন আইনজীবীর সাহায্য নিন এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করুন। আর সারা জীবন কাজ করতে হবে না।"
তৃতীয়জন লিখেছেন, “এটি এমন একটি পরিস্থিতি যা মেরামত করা অসম্ভব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্য চাকরি খুঁজুন। শুভকামনা!” আরও বেশ কয়েকজন একই ধারণা পোষণ করেছেন। তরুণী উত্তর দিয়েছেন যে বর্তমান চাকরির বাজারে তাঁর বর্তমান বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এমন চাকরি পাওয়া কঠিন হবে।
