আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দাম্পত্য সুস্থ-স্বাভাবিক রাখার জন্য একসঙ্গে একই বিছানায় ঘুমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! কিন্তু স্লিপ ফাউন্ডেশন এর সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল প্রায় ২৫ শতাংশ দম্পতি কোনও না কোনও কারণে রাতে এক বিছানায় ঘুমাতে যান না। বিষয়টিকে আধুনিক মনোবিদরা নাম দিয়েছেন ‘স্লিপ ডিভোর্স’। এবার এমনই এক স্লিপ ডিভোর্সের কাহিনি শোনালেন এক যুবক। যা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়।
কী সেই কাহিনি? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি নেটমাধ্যম রেডিটে জানিয়েছেন, প্রায় দুই বছর তিনি নিজের সহধর্মিণীর সঙ্গে এক ঘরে শুতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে যে তিনি খুবই বিরক্ত সে কথাও গোপন করেননি ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি জানিয়েছে, এতে দূরত্ব বাড়ছে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে, চাপ পড়ছে দাম্পত্যে। কিন্তু কেন একসঙ্গে একই শয়নকক্ষে শুতে পারছেন না তাঁরা? তাঁর দাবি, নেপথ্যে রয়েছে স্ত্রীর এমন এক অভ্যাস যার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না তিনি।
কী সেই অভ্যাস? ওই ব্যক্তির অভিযোগ, স্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরেই অল্প স্বল্প অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার বদলে তিনি একটি ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগ করার কৌশল নেন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘর অন্ধকার করে তিমির ডাকের শব্দ শোনেন তিনি। বিষয়টি অদ্ভুত লাগলেও, কারও কারও মতে তিমির ডাকের কম্পাঙ্ক আমাদের স্নায়ু শান্ত করে ও ঘুম আনতে সহায়তা করে। তিমির ডাক শোনার এই টোটকা নাকি কাজে লাগে তাঁর স্ত্রীর ক্ষেত্রেও। তাই গত দু বছর ধরে তিনি রোজ রাতে শুয়ে শুয়ে স্পিকারে তিমির ডাকের শব্দ শোনেন। কিন্তু এই টোটকা সবার জন্য নয়। আর তার মুখ্য প্রমাণ ওই ব্যক্তি স্বয়ং। ঘুমাতে যাওয়ার সময় এহেন আওয়াজে তাঁর নিজের ঘুমের বারোটা বাজে।
আর সেকারণেই আলাদা শুতে হয় তাঁকে।
