ঢাকের বাদ্যি বাজল বলে! বছর ঘুরে হাজির বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। সারা বছরের থোড় বড়ি খাড়া জীবনে এক আনন্দের ঢেউ দুর্গাপূজা। প্রিয়জনদের সঙ্গে হইহুল্লোর, জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, নতুন জামার গন্ধে দেবীপক্ষের শুরু থেকেই ম ম করছে চারপাশ। যদিও এবার ‘অসুর’ হয়ে মাঠে নেমেছে বৃষ্টি। কিন্তু বাঙালির পুজোর বাঁধনছাড়া আবেগে বাধা দেয় কার সাধ্যি! বোধন থেকে বিসর্জন নয়, বেশ কয়েক বছর ধরে মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো মণ্ডপে ভিড়। তবে সারারাত প্যান্ডেল হপিং হোক কিংবা নতুন জামায় পছন্দের খাবারে পুটপূজা, সবেতেই শরীরকে চাঙ্গা না রাখলে যে চলবে না। যাই করুন না কেন, সুস্থ থাকলেই উপভোগ করতে পারবেন সব আনন্দ। তাছাড়া মন না চাইলেও যে পুজোর পরই ফিরতে হবে কাজের জগতে। তাই চুটিয়ে মজা করার মাঝেও শরীরকে ফিট রাখা জরুরি।
*আর্দ্রতা বজায় রাখুনঃ একটানা রাত জাগায় শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত জল খান। ওআরএস খেতে পারেন। ঠাকুর দেখতে বেরলে ব্যাগে জলের বোতল রাখুন। ভুলেও কোল্ডড্রিঙ্কস বা কোনও নরম পানীয়তে চুমুক দেবেন না।
আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠী থেকে দশমী, দুর্গাপুজোয় কবে কোন রঙের পোশাক পরা শুভ? সঠিক রং বাছলেই পাবেন দেবীর আশীর্বাদ
*আরামদায়ক পোশাক-জুতোঃ বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলে ভ্যাপসা গরম এখনও পিছু ছাড়েনি। পুজোয় হালকা পোশাক পরুন। সুতি বা লিনেনের জামা পরে বেরলে ঘাম কম হবে। ঠাকুর দেখতে অনেক হাঁটাহাঁটি করতে হলে আরামদায়ক জুতো বেছে নিন।
*দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে নয়ঃ পুজোর সময়ে বাড়ির খাবার যেন মুখে রোচে না! নতুন জামাকাপড়ের মতো কবে-কী খাবেন তাও মোটমুটি আগে থেকেই প্ল্যান সেরে রাখেন অনেকে। এদিকে আবার রেস্তোঁরাতেও লম্বা লাইনের ঝক্কি। তাই বলে ঠাকুর দেখতে গিয়ে বেশিক্ষণ খালিপেটে থাকবেন না। ব্যাগে বিস্কুট, কেক, ড্রাই ফ্রুটস, চকোলেটের মতো শুকনো খাবার রাখুন।

*প্রয়োজনীয় ওষুধঃ দীর্ঘক্ষণ ঘোরার পরিকল্পনা থাকলে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে বেরন। জরুরি কোনও শারীরিক সমস্যা হলে কাজে আসবে। জ্বর, পেট ব্যথা, বমির মতো ওষুধ সঙ্গে রাখতে পারেন। বিশেষ করে প্রেশার, সুগারের মতো অসুস্থতা থাকলে বাড়তি সতর্ক থাকুন।
*শরীরচর্চাঃ পুজোর দিনগুলোয় ঘাম ঝরাতে ইচ্ছে করে না ঠিকই, কিন্তু এই যে কয়েকদিন আগে কষ্ট করে ওজন কমালেন তা এত সহজে বাড়তে দিলে কী আর চলে! তাই দীর্ঘক্ষণ শরীরচর্চা না করলেও অন্তত অল্প সময় ক্যালোরি বার্ন করতেই পারেন। এতে আর খাওয়াদাওয়া বেশি হলেও মেদ উঁকি ভয় থাকবে না। কিছু না হোক, প্যান্ডেল হপিংয়ের সময়ে খানিকটা হাঁটাহাঁটিতেও কিন্তু ব্যায়াম হয়ে যাবে।
*পর্যাপ্ত ঘুমঃ যতই হইহুল্লোরে মেতে থাকুন, পর্যাপ্ত ঘুম মাস্ট। টানা কয়েক দিন সারা রাত জাগার অনিয়ম করলে শরীর ভেঙে পড়তে পারে। হয়েতো পুজোর আনন্দে তখন কিছু বুঝতে পারবেন না, কিন্তু তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
