আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্রমশ বেরঙিন হচ্ছে যৌন জীবন? বিছানায় উত্তেজনার ছিটেফোঁটাও নেই? কিন্তু দাম্পত্যের বড় অস্ত্রই যে স্বাভাবিক যৌন জীবন, এমনটা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে আজকাল কর্মব্যস্ততার জীবনে ভুল খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চায় অনিয়ম সহ একাধিক কারণে অল্প বয়সেই জাঁকিয়ে বসছে বিভিন্ন অসুখ, প্রভাব পড়ছে যৌন জীবনেও। অকালেই তলানিতে ঠেকছে  শুক্রাণু-ডিম্বাণুর পরিমাণ, গুণমান৷ ক্রমশ কমছে প্রজনন ক্ষমতা। সেক্ষেত্রে কয়েকটি সহজ কৌশল মেনে চললেই সুফল পাবেন। জেনে নিন সেই বিষয়ে- 

* ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: অতিরিক্ত ওজন শুধু শরীরে নয়, যৌন স্বাস্থ্যে  প্রভাব ফেলে। বাড়তি মেদ পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়। 
* নিয়মিত ব্যায়াম করুন: কম শুক্রাণুর সংখ্যা ও শুক্রাণুর খারাপ গুণগত মানের কারণে চিন্তায় থাকলে আজই শরীরচর্চা শুরু করুন। গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ৫০ মিনিট করে অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করলে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ে। তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন। এতে টেস্টোস্টেরনের হরমোনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। 
* মানসিক চাপমুক্ত থাকুন: বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় মানসিক চাপ। নিয়মিত দুশ্চিন্তা, অবসাদে ভুগলে শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যায়। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা কাউন্সেলিং-এর সাহায্য নিতে পারে। 
* ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন:  গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপান শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে। তার সঙ্গে নষ্ট করে দিতে পারে বীর্যের গুণগত মান। শুধু ধূমপান নয়, অ্যালকোহল সহ যে কোনও নেশাই প্রজনন ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। 
* পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার- ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকী এতে শুক্রাণুর গুণগত মানও উন্নত হয়। যার জন্য ফল, সবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খান। জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন সি ও ই-ও শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
* ওষুধের সাহায্য: কিছু ওষুধ শুক্রাণু উৎপাদন এবং কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকলে হরমোন চিকিৎসা করতে হতে পারে।
* বীর্য বিশ্লেষণ: নিয়মিত বীর্য বিশ্লেষণ সময়ের সঙ্গে শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা কিংবা গুণমান বাড়াতে সাহায্য করে।