যতই আমরা নীরোগ থাকার চেষ্টা করি না কেন, আধুনিক যুগের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস যে শরীরের উপর বড় প্রভাব ফেলে। ইদানীং অল্প বয়সেই যেমন জাঁকিয়ে বসছে ক্রনিক অসুখ, আবার ঘন ঘন বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় কাহিল হন অনেকে। যার জন্য চটজলদি স্বস্তি পেতে কয়েকটি আয়ুর্বেদিক টোটকায় ভরসা রাখতে পারেন। 


* বমিঃ গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে লবঙ্গ। বমি হলেও এলাচ ফোটানো জল খেলে উপকার পাবেন। 


* পেটের সমস্যা: আবহাওয়া বদলের সময়ে কিংবা গুরুপাক খেলে অনেক সময়ে পেটের নানা  সমস্যা ভোগায়। আদা চা কিংবা পেপারমিন্ট চা খেলে স্বস্তি পাবেন। 

* বদহজম- বর্তমান জীবনযাত্রায় বদহজম নিত্যদিনের সঙ্গী। বদহজম হলেই ভুগলে এক কাপ গরম জলে এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে খেয়ে দেখুন তো! ঝটপট উপকার পাবেন। খানিকটা মৌরি চিবিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। 

* ক্লান্তি- আচমকা খুব ক্লান্ত লাগলে মৌরি আর চিনি একসঙ্গে খেয়ে নিন৷ নিমেষে বেশ তরতাজা অনুভব করবেন। 

* ডায়ারিয়া: পেটে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে ডায়ারিয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে ভাতের সঙ্গে দই মিশিয়ে খেলে অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়া ঠিক থাকবে৷ 

* মাথা ব্যথা- সামান্য মানসিক চাপ পড়লেই মাথা দপদপ, রগের দু’পাশ ধরে যন্ত্রণা হয়? আচমকা এমন ব্যথা শুরু হলে আদা চা খেতে পারেন অথবা কপালে ঠান্ডা সেঁক দিন।  

* নিউমোনিয়া: নিউমোনিয়া প্রতিরোধে হিং দারুণ কার্যকরী। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর হিং-এ রয়েছে ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং কার্বোহাইড্রট। এই হিং মেশানো জল খেলে শরীর ও ফুসফুস দুই-ই চাঙ্গা থাকে। 

* দাঁত ব্যথা- দাঁতের ব্যথায় আদা ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আদার প্রদাহ-বিরোধী এবং ব্যথানাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দাঁতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। আদার রস গরম করে দাঁত ব্যথার জায়গায় লাগালে আরাম পাবেন। 

* কেটে গেলে: কাঁচা হলুদের অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণের কথা আমরা ছোট থেকেই জানি। ক্ষত স্থানে কাঁচা হলুদ লাগালে ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। কাটা জায়গায় তেলে হলুদ গরম করে লাগালে ক্ষতস্থান নিরাময় হবে। 


* কাশি- সারাদিন, বিশেষ করে রাত হলেই খুসখুসে কাশিতে ভোগেন অনেকে। কিছু ক্ষেত্রে বুকে কফ বসে এমন পরিস্থিতি হয় যে রীতিমতো শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে এক চা চামচ মধু অথবা আদা দিয়ে চা খেতে পারেন। গরম জলে স্টিম বা বাষ্প নাক দিয়ে টানলেও উপকার পাবেন। 

* অনিদ্রা- কারণে-অকারণে অনিদ্রার সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। ক্যামোমাইল চা অথবা গরম দুধে এক চিমটে নাটমেগ দিয়ে খেতে পারেন। এতে মন শরীর ও শান্ত হয় এবং দ্রুত ঘুম চলে আসে।