আজকাল ওয়েবডেস্ক: সই কি কেবলই নাম লেখার একটি বিশেষ পদ্ধতি? না কি তার মধ্যে লুকিয়ে থাকে ব্যক্তিত্বের সূক্ষ্ম ছাপ? মনোবিদ ও গ্রাফোলজিস্টদের মতে, কার স্বাক্ষর কেমন, কতটা লম্বা, সোজা না বাঁকা, স্পষ্ট না জটিল— এই সব কিছু থেকেই ধরা পড়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মনের বিভিন্ন দিক।
১. বড় এবং এলোমেলো সই: আত্মবিশ্বাস, নাকি আত্মপ্রচারের ইঙ্গিত?
যাঁরা বড় হরফে কিংবা মোটা কালি দিয়ে সই করেন, সাধারণত তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হন। এই ধরনের মানুষের মধ্যে নেতৃত্ব দান করার প্রবণতাও থাকে। তবে কখনও কখনও অতিরিক্ত অলংকরণ থাকলে তা আত্মপ্রচারের প্রবণতা বা আত্মকেন্দ্রিকতার ইঙ্গিতও হতে পারে।
২. ছোট, পরিমিত সই: আত্মস্থ, গম্ভীর
খুব ছোট ও সংযত সই যাঁদের, তাঁরা প্রায়শই অন্তর্মুখী হন। তবে অন্তর্মুখী বা ইন্ট্রোভার্ট মানেই যে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী নন এমন কিন্তু না। আসলে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী কিন্তু প্রচারবিমুখ। এমন মানুষরা সাধারণত বাস্তববাদী, সতর্ক এবং ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে পছন্দ করেন।
 
 ৩. সোজা, স্পষ্ট ও পড়তে সুবিধে হয় এমন সই: স্বচ্ছ ও স্থিতধী মন
কারও স্বাক্ষর যদি সহজেই পড়া যায়, খুব বেশি জটিল না হয় এবং সোজা লাইনে চলে, তবে তাঁর মধ্যে সাধারণত পরিষ্কার চিন্তাভাবনা এবং ভাবনার স্বচ্ছতা দেখা যায়। এই ধরনের মানুষরা সাধারণত স্থিতধী হন।
৪. সইয়ের টান যদি উপরের দিকে যায়: উচ্চাকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত
 
 সইয়ের শেষ অংশ যদি একটু উপরের দিকে উঠে যায়, তবে তা আশাবাদী মনোভাব ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত হতে পারে। এই ধরনের স্বাক্ষর যাঁদের, তাঁরা সাধারণত লক্ষ্য স্থির রেখে জীবনে এগিয়ে যেতে চান।
৫. জটিল, বিশৃঙ্খল সই: সৃজনশীলতা নাকি বিভ্রান্তি?
 
 অনেকেই এমনভাবে সই করেন, যেখানে নাম বোঝা দুষ্কর কিংবা সই জটিল কারুকাজে ভরা। এই ধরনের স্বাক্ষর সৃজনশীল এবং কল্পনাপ্রবণ মনের চিহ্ন। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে এটি অস্তিরমতি হওয়ার লক্ষণ।
তবে মনে রাখবেন, সই নিয়ে এই ধরনের গবেষণা বা গ্রাফোলজি বিজ্ঞানের এক অদ্ভুত শাখা। এটিকে শতভাগ সঠিক মাপকাঠি হিসাবে ধরা উচিত নয়। কারণ মানুষ শুধুই তাঁর সইতে সীমাবদ্ধ নন, তাঁর আচরণ, চেতনা ও অভিজ্ঞতাও তাঁর চরিত্র নির্মাণ করে।
