আজকাল ওয়েবডেস্ক: “আমসত্ত্ব দুধে ফেলি, তাহাতে কদলী দলি” রসনাতৃপ্তিতে মজেননি এমন বাঙালি খাদ্যরসিক খুঁজে পাওয়া দায়। শুধু স্বাদের জন্য নয়, পুষ্টির দিক থেকেও সাধারণ মানুষ থেকে ক্রীড়াবিদ অনেকেই ভরসা রাখেন কলায়। কলা পটাসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কলায় প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যা দ্রুত শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। কিন্তু কলার একটি মস্ত সমস্যা হলে বাড়িতে এনে বেশিদিন রাখলেই মজে যায় কলা। নষ্ট হয়ে যায় স্বাদ। তাই কলা বেশিদিন টাটকা রাখতে চাইলে জানতে হবে কয়েকটি কৌশল।

১. কাঁদি থেকে কলা আলাদা করে নিন: কলা বা যেকোনও ফল পাকার প্রধান কারণ ইথিলিন গ্যাস। কলার কাঁদির মধ্যে থেকে বেশি পরিমাণে এই গ্যাস নির্গত হয়। তাই কলাগুলিকে কাঁদির কাছে ইথিলিন গ্যাসের ঘনত্ব বেশি থাকে। কাঁদি থেকে কলা আলাদা করে দূরে রাখলে ধীরে ধীরে পাকবে।

২. কলার মোচার অংশ মুড়ে রাখুন: কলার কাঁদির মোচার অংশ থেকেই মূলত ইথিলিন গ্যাস বের হয়। তাই এই অংশটি প্লাস্টিক র‍্যাপ বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ভাল করে মুড়ে রাখুন। এতে গ্যাসের ঘনত্ব কিছুটা কমবে। কলা পাকার প্রক্রিয়া অনেকটাই ধীর হয়ে যাবে।

৩. অন্যান্য পাকা ফল থেকে দূরে রাখুন: অনেকেই ডাইনিং টেবিলে ফলের ঝুড়িতে অন্যান্য ফলের সঙ্গেই কলা রেখে দেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন, আপেল, অ্যাভোকাডো, আম, জাম - যে কোনও পাকা ফল থেকেই ইথিলিন গ্যাস নির্গত হয়। তাই কলার কাঁদি এই ধরনের পাকা ফলের কাছাকাছি রাখলে তা তাড়াতাড়ি পেকে যেতে পারে।

৪. ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন: গরম জায়গায় কলা তাড়াতাড়ি পেকে যায়। তাই কলার কাঁদি ঠান্ডা ও অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় রাখুন। তবে সরাসরি রেফ্রিজারেটরে কাঁচা কলা রাখলে তা পাকার প্রক্রিয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে পারে এবং খোসা কালো হয়ে যেতে পারে। তাই কলা কিছুটা পাকলে তারপর ফ্রিজে রাখতে পারেন, এতে কলা বেশি দিন ভাল থাকবে।

৫.  ঝুলিয়ে রাখুন: কলার কাঁদি ঝুলিয়ে রাখলে তা আঘাত লাগা থেকে বাঁচে। আঘাত লাগলে কলা তাড়াতাড়ি পেকে যেতে পারে। তা ছাড়া ঝুলিয়ে রাখলে ইথিলিন গ্যাস সহজে উবে যেতে পারে। তাই দেখবেন ফল বিক্রেতারাও দোকানে কলার কাঁদি ঝুলিয়ে রাখেন। এতে পাকার গতি মন্থর হয়ে যায়।