আজকাল ওয়েবডেস্ক: টক দই খাওয়া যে শরীরের পক্ষে ভাল এ কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু টক দই খাওয়ার সময় অম্লস্বাদ কমাতে অনেকেই নুন অথবা চিনি মিশিয়ে টক দই খান। এভাবে নুন বা চিনি মেশালে কী হয় জানেন?
চিনি দিয়ে টক দই খেলে
* অতিরিক্ত ক্যালরি: চিনি যোগ করলে দইয়ের ক্যালরি অনেকটাই বেড়ে যায়, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
* পুষ্টিগুণ হ্রাস: অতিরিক্ত চিনি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয় এবং এটি দাঁতের সমস্যাসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। চিনির কারণে টক দইয়ের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য উপকারিতা কিছুটা হলেও কমে যায়।
লবণ দিয়ে টক দই খেলে
* সোডিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি: খাবারে অতিরিক্ত লবণ (সোডিয়াম) গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অনেকের খাদ্যতালিকায় এমনিতেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি লবণ থাকে, তাই দইয়ের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ যোগ না করাই ভাল।
* কিছু ক্ষেত্রে সীমিত ব্যবহার: গরমকালে শরীর থেকে লবণ বেরিয়ে গেলে সামান্য লবণ দিয়ে ঘোল বা লস্যি খাওয়া যেতে পারে, তবে নিয়মিত দইয়ের সঙ্গে লবণ খাওয়া সার্বিকভাবে খুব একটা উপকারী নয়।
শুধু টক দই খাওয়ার উপকারিতা
* প্রোবায়োটিকস: টক দই প্রোবায়োটিকসের চমৎকার উৎস, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
* পুষ্টিগুণ: টক দইতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন), ভিটামিন বি১২, ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের মতো জরুরি পুষ্টি উপাদান থাকে।
* ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ: চিনি বা লবণ যোগ না করলে টক দইতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
* রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ: মিষ্টি ছাড়া টক দই রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
কাজেই সবদিক বিবেচনা করলে, টক দই চিনি বা লবণ যোগ না করে খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি লাভজনক।
