আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সকালে প্রাত:ক্রিয়া সেরে অফিসে বেরনোর আগে সবে ব্রেকফাস্ট খেয়েছেন। ওমনি মোচর দিয়ে উঠল পেট! সঙ্গে সঙ্গে ছুটতে হল বাথরুমে। ব্যাস, দেরি হয়ে গেল অফিসে। ছুটির দিন বিকেলে কফিতে চুমুক দিয়েছেন। খানিকক্ষণের মধ্যে আড্ডার বারোটা বাজিয়ে শৌচাগারে কাটাতে হল বেশ অনেকক্ষণ। আপনার সঙ্গেও কি প্রায়ই এমনটা হয়? কখনও ভেবে দেখেছেন ঘন ঘন মলত্যাগের অভ্যাস কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? বড়সড় বিপদ আসার আগে জানুন বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন। 

চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, আপনি দিনে কতবার মলত্যাগ করেন তার সঙ্গে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য জড়িত। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন বা যারা দিনে তিন বা তার বেশি বার মলত্যাগ করেন তাঁদের অন্ত্রে এক ধরনের বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর এই ব্যাকটেরিয়া শুধু আভ্যন্তরীণ অঙ্গেরই ক্ষতি করে না, মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মলত্যাগের অভ্যাস এমনকী মলত্যাগ না করলেও কতবার বেগ আসছে তা শরীরে দীর্ঘস্থায়ী রোগ বাসা বাঁধার ইঙ্গিত হতে পারে। চিকিৎসকেরা মলত্যাগের অভ্যাস থেকে অনুমান করতে পারেন, একজন ব্যক্তির কী ধরনের সমস্যা হতে পারে। কয়েক হাজার মানুষের মল এবং রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ব্যায়াম, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা মলত্যাগের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে যারা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, পর্যাপ্ত জল খান এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তাদের অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকে। এই ধরনের মানুষেরা দিনে একবার বা কখনও দু'বার মলত্যাগ করেন। 

সাধারণত ফুড অ্যালার্জি, উৎকণ্ঠা, গ্যাসট্রিক, ক্রনিক ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিজিজ ইত্যাদি সমস্যা থেকেই ঘন ঘন মলত্যাগের বেগ আসে। এছাড়া অন্ত্রে ইনফেকশনের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশলাদার খাবার, কিছু ওষুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার কোল্ড ড্রিংকস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ইত্যাদি মূলত ঘন ঘন মলত্যাগের পিছনে দায়ী।