আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সুস্থতার জন্য হাড়ের জোর থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভুল খাদ্যাভ্যাস, ক্যালশিয়াম ও  ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি, শরীরচর্চার অভাব সহ একাধিক কারণে অল্প বয়সেও হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। সঙ্গে হানা দেয় জয়েন্টে ব্যথা এবং শরীরের দুর্বলতার মতো একাধিক সমস্যা। হাড় মজবুত রাখতে নিয়মিত কয়েকটি অভ্যাস বদলানো জরুরি। যা হল- 


১. দীর্ঘক্ষণ বসে থাকাঃ দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এবং নিষ্ক্রিয়তা দ্রুত হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে মেরুদণ্ড এবং নিতম্বের মতো ওজন বহনকারী হাড়গুলিতে জোর কমে যায়। এমনকী অল্পবয়সিদের মধ্যেও হাড়ের দুর্বলতা দেখা দেয়। 


২. দীর্ঘদিন ধূমপান এবং তামাক ব্যবহারঃ ধূমপান হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। এটি হাড়ে রক্ত ​​প্রবাহ কমিয়ে দেয়, ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি শোষণকে ব্যাহত করে। একইসঙ্গে মহিলাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য কমে এবং অস্টিওব্লাস্ট নামক হাড় গঠনকারী কোষগুলোকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এমনকী অল্প ধূমপানও হাড়ের ক্ষয় বাড়িয়ে দিতে পারে। 


৩. অতিরিক্ত কফি পানঃ যদিও পরিমিত কফি পান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন অর্থাৎ প্রায় ৩-৪ কাপ কফি খেলে শরীরে ক্যালশিয়াম শোষণে বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে ক্যালশিয়াম নিঃসরণ বেড়ে যেতে পারে। যা সরাসরি হাড়ের গঠন এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।


৪. নিয়মিত সোডা খাওয়াঃ সোডায় ফসফরিক অ্যাসিড নামক একটি রাসায়নিক যৌগ থাকে। এই যৌগটিটি শরীরের সূক্ষ্ম ক্যালশিয়াম-ফসফরাস ভারসাম্যকে ব্যাহত করে, যার ফলে হাড় থেকে ক্যালশিয়ামের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়। সোডায় থাকা ফসফরিক অ্যাসিড পাচনতন্ত্রে ক্যালশিয়ামের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে এর শোষণকে বাধা দেয়। 

 

৫. ঘুমের অভাবঃ পর্যাপ্ত না ঘুমালে হাড়ের পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনের ভারসাম্যে ব্যাহত ঘটে। গভীর ঘুম হাড়ের গঠন এবং মেরামতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ৬-৭ ঘন্টার কম ঘুমালে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়।