আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে পারে। তবে কোলেস্টেরল মাত্রই খারাপ নয়। এর মধ্যেও রয়েছে ভালমন্দের ভেদ। কোলেস্টেরল দুই ধরনের হয়, ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ এবং ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’। ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা ‘এইচডিএল’ হল ভাল কোলেস্টেরল। এই ধরনের কোলেস্টেরল শরীর সুস্থ রাখার জন্য জরুরি। অন্যদিকে ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা ‘এলডিএল’কে বলা হয় খারাপ কোলেস্টেরল। কিছু ঘরোয়া পানীয় নিয়মিত সেবন করলে এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে।
১. গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ক্যাটেচিন থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল বা ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ কমাতে এবং ভাল কোলেস্টেরল বা ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বাড়াতে সাহায্য করে। দিনে ২-৩ কাপ চিনি ছাড়া গ্রিন টি পান করা উপকারী কোলেস্টেরল কমাতে।
২. লেবু-গরম জল: সকালে খালি পেটে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে অর্ধেক বা একটি গোটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে তা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং মেটাবলিজম বা বিপাকহার বাড়ায়। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।
৩. মেথি ভেজানো জল: এক চামচ মেথি বীজ সারারাত এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই জল পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য পাওয়া যায়। মেথিতে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল শোষণ কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
আরও পড়ুন: ৮৫ বছর বয়সে মাধ্যমিকে বসেও ফের অকৃতকার্য! ইনিই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক স্কুলছাত্র
৪. আমলকীর রস: আমলকী ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাজা আমলকীর রস (২০-৩০ মিলি) সামান্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে পান করা যেতে পারে।
৫. আদা-রসুন-লেবুর মিশ্রণ: আদা, রসুন এবং লেবু, এই তিনটি উপাদানই কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এক চামচ আদার রস, এক চামচ রসুনের রস এবং এক চামচ লেবুর রস এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
৬. ধনেবীজ ভেজানো জল: দুই চামচ ধনে বীজ এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল ছেঁকে পান করলে কোলেস্টেরলের সমস্যা কমে। ধনিয়া বীজ হাইপোলিপিডেমিক গুণ সম্পন্ন, অর্থাৎ মেদ ঝরাতে সহায়ক।
৭. ওটসের দুধ বা ওটমিল: ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান নামক দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে খুবই কার্যকর। ওটস জলে বা দুধে (কম ফ্যাটযুক্ত) ফুটিয়ে পাতলা পানীয় তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।
৮. টমেটোর রস: টমেটোতে লাইকোপিন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। বাড়িতে তৈরি তাজা টমেটোর রস (লবণ ও চিনি ছাড়া) পান করা স্বাস্থ্যকর।
তবে মনে রাখবেন, এই ঘরোয়া পানীয়গুলি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে, তবে এগুলো কোনওটিই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।
