এ যেন নিশির ডাক! রাতে বিছানায় পিঠ ঠেকালেই বারবার যেতে হয় প্রস্রাবে।  স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে ক্ষতিকর সব উপাদান বাইরে বেরিয়ে যায়। কিন্ত ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া যে মোটেই স্বাভাবিক নয়। অনেকেই রাতে বার বার প্রস্রাব পাওয়া ডায়াবেটিসের লক্ষণ বলে মনে করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া ছাড়াও এর পিছনে থাকতে পারে অনেক জটিল রোগ। জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে- 

১. বয়স একটু বাড়লে অনেক সময়ে পুরুষদের প্রস্টেটের সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে বার বার প্রস্রাব পেতে পারে। কারণ এই রোগে ভুক্তভোগীদের একবারে মূত্র বের হতে চায় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রস্টেট বড় হয়ে গেলে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতেও পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 


২. অল্প বয়সিদের মধ্যেও আজকাল স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা নজরে আসে। দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার ফলে এই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। যার জন্য অনেক সময়ই বার বার প্রস্রাব পায় কিংবা প্রস্রাব আটকে রাখা যায় না। সেই সঙ্গে পিঠে, কোমরে ব্যথাও থাকতে পারে। এই ধরনের সমস্যা হলে প্রথমেই সজাগ হওয়া জরুরি। 

৩. রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের লক্ষণ কিডনির অসুখের কারণেও হতে পারে। যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় নকচুরিয়া। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি মূত্রত্যাগ করতে হলে সতর্ক হন। 


৪. কম জলপান সহ আরও অনেক কারণে কিডনিতে স্টোন হতে পারে। সেই স্টোন আবার মূত্রনালীতে চলে আসলে বারবার প্রস্রাব পায়। মূত্র ত্যাগ করার সময় ব্যথা, এমনকী প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বেরোতেও পারে। তাই এমন লক্ষণে সাবধান হন। মূত্রনালি কিংবা মূত্রথলির সংক্রমণ হলেও রাতে বার বার প্রস্রাব পেতে পারে। 


৫. শরীরে থাইরয়েড হরমোন বা কর্টিসল হরমোনের আধিক্য হলে রাতে একাধিকবার প্রস্রাব পেতে পারে। একই সমস্যা দেখা দেয় রক্তে ক্যালশিয়াম বা পটাশিয়ামের তারতম্য ঘটলেও। এছাড়াও গর্ভাবস্থার প্রথমে ও পরেও বার বার প্রস্রাব পেতে পারে।