আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুজরাটের আমদাবাদ থেকে উদ্ধার হল ৩১০০ কেজি ভেজাল ঘি। গুজরাট ফুড অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর পক্ষ থেকে খেড়া মহকুমায় শ্রী কেশম কল্যাণী মিল্ক অ্যান্ড মিল্ক প্রোডাক্টস নামের একটি সংস্থার গুদামে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেখানেই উদ্ধার হয় ভেজাল ঘি।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতেই পারে, সাধারণ মানুষ কীভাবে চিনবেন কোন ঘি খাঁটি? কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়ে আলাদা করা যায় ভেজাল ঘি।
১। গরম করার পরীক্ষা
* আসল ঘি: এক চামচ ঘি গরম করুন। খাঁটি ঘি খুব তাড়াতাড়ি গলে যাবে এবং হালকা বাদামের মতো গন্ধ বের হবে।
* নকল ঘি: গরম করলে এটি সহজে গলতে চাইবে না এবং অন্যরকম গন্ধ বের হতে পারে। অনেক সময় ফেনা বা ধোঁয়াও দেখা যেতে পারে।
২। হাতের তালুতে নিয়ে পরীক্ষা
* আসল ঘি: সামান্য ঘি হাতের তালুতে নিয়ে ঘষুন। খাঁটি ঘি খুব তাড়াতাড়ি ত্বকের সঙ্গে মিশে যাবে এবং কোনও দানাদার ভাব থাকবে না।
* নকল ঘি: এটি ত্বকের সঙ্গে মিশতে বেশি সময় নেবে এবং দানাদার বা তৈলাক্ত ভাব অনুভূত হতে পারে।
৩। ডাবল বয়লার পদ্ধতি
* আসল ঘি: একটি পাত্রে জল গরম করুন এবং তার উপরে অন্য একটি পাত্রে ঘি রাখুন। খাঁটি ঘি সমানভাবে গলবে এবং পাত্রের তলায় কোনও স্তর জমবে না।
* নকল ঘি: এই পদ্ধতিতে গরম করলে নকল ঘি-এর তলায় সাদা বা অন্য কোনও রঙের স্তর জমতে পারে।
৪। ফ্রিজ পরীক্ষা
* আসল ঘি: খাঁটি ঘি ফ্রিজে রাখলে খুব বেশি শক্ত হবে না।
* নকল ঘি: ভেজিটেবল ফ্যাট মেশানো ঘি ফ্রিজে রাখলে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যাবে।
৫। আয়োডিন পরীক্ষা
* সতর্কতা: এটি একটি রাসায়নিক পরীক্ষা এবং সাবধানে করতে হবে। বাড়িতে সব সময় এই পরীক্ষা করা সম্ভব নাও হতে পারে।
* পদ্ধতি: সামান্য গলানো ঘিতে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন দ্রবণ মেশান। যদি ঘিয়ের রঙ নীলচে বা বেগুনি হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে এতে ভেজাল মেশানো আছে (যেমন স্টার্চ)। খাঁটি ঘিয়ের রঙ পরিবর্তন হবে না।
