আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ির রং এখন আর কেবল অন্দরসজ্জার বিষয় নয়। ঘরের রঙের সঙ্গে যোগ রয়েছে গৃহস্থের ভাল-মন্দও। অন্দরসজ্জা বিশেষজ্ঞ এবং মনস্তত্ববিদেরা জানাচ্ছেন, রঙের সঙ্গে মানুষের মনের শান্তির যোগ রয়েছে। 
১.  বসার ঘর: বসার ঘরে সাধারণত মানুষ আরাম আয়েশ করেন, পাশাপাশি এই ঘর অতিথি আপ্যায়ন, পরিবারের একত্রিত হওয়ার জায়গা। হালকা বা নিউট্রাল শেড (যেমন অফ-হোয়াইট, হালকা ধূসর, বেইজ) করলে ঘরকে বড় ও খোলামেলা দেখায়। উষ্ণ রং (যেমন হালকা হলুদ, পীচ) বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে। একটি দেওয়ালে গাঢ় অ্যাকসেন্ট রং (যেমন নেভি ব্লু, গাঢ় সবুজ) নাটকীয়তা আনতে পারে।
২.  শোওয়ার ঘর: শান্ত ও স্নিগ্ধ রং (যেমন নীল, সবুজ, ল্যাভেন্ডার, হালকা গোলাপি) শয়নকক্ষের জন্য আদর্শ। এই ধরনের রং মনকে শান্ত করে। পাশাপাশি মাটির রং (যেমন ব্রাউন, বেইজ) আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। শয়ন কক্ষে খুব উজ্জ্বল রং এড়িয়ে চলুন।
৩.  খাবার ঘর: উষ্ণ ও আকর্ষণীয় রং (যেমন লাল, কমলা, টেরাকোটা) ক্ষুধা বাড়াতে ও সামাজিকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে মনে করেন অন্দরসজ্জা শিল্পীরা। মার্জিত ভাব আনতে গাঢ় নীল বা সবুজ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪.  রান্নাঘর: হেঁসেলে উজ্জ্বল ও পরিষ্কার রং (যেমন সাদা, হালকা হলুদ, হালকা নীল) সতেজতা ও পরিচ্ছন্নতার অনুভূতি দেয়। হালকা কমলা বা পীচ উষ্ণতা যোগ করতে পারে। ছোট রান্নাঘরে গাঢ় রং এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। গাঢ় রঙে ছোট ঘরকে আরও ছোট দেখায়।
৫. পড়ার ঘর বা অফিস: মনে করা হয় সবুজ, নীল ইত্যাদি রং মনোযোগ বৃদ্ধি করে। সৃজনশীলতা বাড়াতে পরিমিত হলুদ বা কমলা ব্যবহার করা যেতে পারে। অফিসে ধূসর বা বেইজ রং ব্যবহার করতে পারেন। এই রংগুলি পেশাদার পরিবেশ তৈরি করে।