আজকাল অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রেমে পড়া, এমনকী বিয়েতেও সমস্যা হয় না। সমস্যা দেখা দেয় বিয়ের পর একসঙ্গে ভাল থাকায়। নানা জটিলতা তৈরি হয়। আর এই সমস্যার কারণ এবার প্রকাশ্যে আনলেন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে সমস্যার অনেকটাই লুকিয়ে থাকে বিয়ের পর নতুন বর-কনে যে বাবা-মায়ের সঙ্গে একসঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকে, তাতে।
সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অজয় পাণ্ডে সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানেই তিনি প্রথমেই জানিয়েছেন, 'বিয়ের প্রথম পাঁচ বছর বাবা মায়ের সঙ্গে থাকবেন না।' তারপর তিনি আরও সংযোজন করে লেখেন, 'কিন্তু কেন জানেন?' তিনি তাঁর এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, 'সবসময় আপনার স্ত্রীকে গুরুত্ব দিন।' ঠিক কী জানিয়েছেন এই সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ তাঁর পোস্টে?
অজয় তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন কেন স্ত্রীকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। তাঁর মতে পরিবারের চাহিদা, দাবির থেকে জরুরি স্ত্রীর স্বপ্ন, চাহিদাকে বোঝা এবং সেটা পূরণ করা। অজয়ের মতে,আপনার স্ত্রী আপনার সঙ্গে থাকবে বলে এসেছে, আপনার পরিবারের সঙ্গে নয়। পুরুষদের উচিত তাঁদের বেটার হাফের সঙ্গে সম্পর্ককে যত্নে, আগলে রাখা।
এক্ষেত্রে তাঁর দ্বিতীয় বক্তব্য হল, এক ছাদের তলায় থাকার ফলে অনেক সময়ই মেয়েদের লাগাতার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় শ্বশুর বাড়িতে। ভুল ধরানো হয় তাঁদের। কখনও আস্তে কথা বলতে বলার নির্দেশ আসে, তো কখনও পছন্দের পোশাক পরার ক্ষেত্রে 'না' শুনতে হয়। এমনকী হাসতে গেলেও তাঁকে ভেবে হাসতে হয়। এতে সেটার প্রভাব বৈবাহিক সম্পর্কে পড়ে।
বিয়ের পর পর কম বেশি সমস্ত বাড়িতেই একাধিক নিয়ম, কানুন, ইত্যাদির বিষয় থাকে। সেসব মানতে গিয়ে বা সেগুলোকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে অনেক সময়ই প্রেম বা ভালবাসায় একটা ফাঁক তৈরি হয়ে যায়। অথচ বিয়ের পর সঙ্গীর সঙ্গে 'কোয়ালিটি' সময় কাটানো বাঞ্ছনীয় সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার জন্য।
সম্পর্ককে বেড়ে উঠতে দেওয়ার জন্য, বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার জন্য স্বাধীনতা প্রয়োজন হয়। তাই বিয়ের পর পুরুষদের উচিত তাঁদের স্ত্রীদের সেই স্বাধীনতা দেওয়া যা তিনি বিয়ের আগেও পেতেন।
দাম্পত্য জীবনকে সুখের করে তুলতে একান্তে সময় কাটানো জরুরি। সেখানে বাড়ি ভর্তি লোক থাকলে দু'জনায় আলাদা সময় কাটানোর মতো সময় পাওয়া যায় না। তাই তাঁর মতে বিয়ের পর অন্তত ৫ বছর আলাদা থাকা উচিত। বাব মায়ের সঙ্গে থাকলে সম্পর্ক গভীর হয় না। বরং কিছু ক্ষেত্রে কুপ্রভাব পড়ে।
যদিও আজকাল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শ্বশুর বাড়িতে মেয়েরা তাঁদের বাবার বাড়ির মতোই স্বাধীনতা পান। চাকরি থেকে নিজের ইচ্ছে মতো বেরোনো, ঘুরতে যাওয়ায় সমস্যা পোহাতে হয় না।
