অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন ও ক্যাটরিনা কাইফ বরাবর তাঁদের ফিটনেস ও এনার্জির জন্য পরিচিত। তাঁদের ব্যক্তিগত ট্রেনার ইয়াসমিন করাচিওয়ালা জানিয়েছেন, ব্যস্ত জীবনে কীভাবে সহজ স্ন্যাকস খেয়ে শরীরকে সক্রিয় রাখা যায়। আধুনিক কর্মজীবনে দিনের বেশিরভাগ সময় দৌড়ঝাঁপে কেটে যায়, ফলে অনেকেই সঠিক সময়ে খাবার খেতে পারেন না। এতে অনেক সময়েই শরীরের এনার্জি কমে যায়। এই পরিস্থিতি এড়াতেই ইয়াসমিনের প্রস্তাব, সহজ, পুষ্টিকর এবং সহজলভ্য স্ন্যাক গ্রহণ।
ইয়াসমিনের মতে, দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শরীরকে এনার্জি দিতে হলে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সুষম মিশ্রণ থাকা জরুরি। তিনি বলেন, প্রি-ওয়ার্কআউট বা ব্যস্ত সময়ের আগে খাওয়া উচিত এমন খাবার যা শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেবে, কিন্তু হজমে অতিরিক্ত চাপ ফেলবে না। সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর কম্বিনেশন হল, একটি পাকা কলা এবং এক মুঠো বাদাম। কলার প্রাকৃতিক শর্করা শরীরকে দ্রুত এনার্জি দেয়, আর বাদামের ফাইবার ও প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।
তিনি আরও জানান, যারা ওয়ার্কআউট করেন বা দীর্ঘ সময় কাজ করেন, তাঁদের জন্য গ্রিক দই, ওটমিল, ফল বা গোটা শস্য, টোস্ট অত্যন্ত কার্যকর। এগুলো শরীরকে শুধু শক্তিই দেয় না, বরং পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় ক্লান্তি কমায়। ব্যস্ত দিনে স্ন্যাকস হিসেবে এগুলো ব্যাগে রাখা খুবই সহজ এবং দ্রুত খেয়েও ফেলা যায়।
ওয়ার্কআউটের পরে এনার্জি পেতে ইয়াসমিন পরামর্শ দিয়েছেন, গ্রিক দইয়ের সঙ্গে বাদাম ও ফলের সংমিশ্রণ বা লো-প্রসেসড প্রোটিন শেক। এগুলো মাংসপেশি পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং হারানো শক্তি দ্রুত ফিরিয়ে আনে। তিনি এও মনে করিয়ে দেন, ব্যায়ামের পর ফাস্ট ফুড, ভাজা খাবার বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত স্ন্যাক খেলে শরীর ভারী লাগে এবং ক্লান্তি বাড়ে।
একইসঙ্গে ইয়াসমিন সতর্ক করেন প্রসেসড খাবার সম্পর্কে। ব্যস্ততার কারণে অনেকেই স্ন্যাক হিসেবে প্যাকেটজাত চিপস, চকোলেট বার বা কুকিজ খেয়ে ফেলেন। এগুলো দ্রুত শক্তি দিলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্তে শর্করা কমে যায় এবং আরও ক্লান্তি আসে। এর বদলে তিনি পরামর্শ দেন বাদাম, ফল, দই বা ঘরে তৈরি হালকা স্যান্ডউইচ রাখার। সঠিক স্ন্যাকস কর্মক্ষমতা বাড়ায়, মনোযোগ ধরে রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
