আজকাল ওয়েবডেস্ক: মার্চ পেরিয়ে এপ্রিলে পা রাখতে না রাখতেই গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। বেলা গড়ালে ঝাঁ ঝাঁ রোদে বাইরে পা রাখতেই ইচ্ছে করে না। জমিয়ে সাজগোজের গল্প তো ঢের দূরের কথা! তবু তারই মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে  আরও একটা নতুন বছর। পয়লা-পার্বণে ডুব দেবেন আর সাজবেন না, তা-ও কি হয়! নববর্ষে জমিয়ে সাজবেন।

ঠিক যেমনটা করেছেন একালের ‘রোমিও-জুলিয়েট’। পর্দায় সবুজে ঘেরা পাহাড়ি গ্রাম তালমায় যে রোমান্সের শুরু, তাকেই এই শেষ-বসন্তে কলকাত্তাইয়া গরমে এনে ফেললেন দেবদত্ত রাহা এবং হিয়া রায়। বৈশাখী সাজে ধরা দিলেন আজকাল ঘরোয়া-র ক্যামেরায়। 

বাঙালির উৎসব-সাজে বরাবরই ওতপ্রোত জড়িয়ে লাল-সাদার চিরকালীন জুটি। এবার একটু পালাবদল। লাল–সাদা শাড়ি নয়, জুটির সাজে লাল–সাদা ধুতি আর হিয়া বেছে  নিয়েছেন আলতা–গোলাপি হ্যান্ডমেড সুতির ডুরে শাড়ি। সঙ্গে হ্যান্ডমেড সুতির জামদানি বেল-স্লিভ ব্লাউজে লাল-সাদার যুগলবন্দি। এলো চুলে, বড় সিঁদুর-টিপে, মুক্তোর চোকার, ঝুলন্ত ভারী সোনার নেকলেসে নিখাদ বাঙালি কন্যে।

বছর-পয়লার সাজে দেবদত্তও কম যাবেন নাকি? রোদে ঝলসে যাওয়া দিনগুলোতে হালকা রংই বরাবরের সেরা পছন্দ। শরীর তো বটেই, চোখেরও আরাম তাতে।  দেবদত্তও তাই ভরসা রেখেছেন হালকা ছাইরঙা পিওর কটন জামদানি হাইনেক কুর্তায়। তাতে লম্বা এক টানে লাল-সাদায় কাজ। বাদ যায়নি চৈত্র-শেষের হলুদের ছোঁয়াটুকুও। সঙ্গে লাল নকশার সাদা ধুতিতে যেন সমানে সমানে টক্কর দিয়েছেন পর্দার প্রেমিকার সাজের সঙ্গে।

বিকেল গড়ালে খানিক কমে আসবে রোদের তাত। কমবে গরমও। সন্ধের জমায়েতে তাই বরং খানিকটা গাঢ় রং, ভারী সাজ বেছে নেওয়া চলে। তবে মেকআপ হাল্কা হলেই বোধহয় মানায় ভাল। হিয়ার পছন্দে তাই বেগুনি-কমলা ডুয়াল টোনের হ্যান্ডমেড পিওর মোডাল বাই জরি শাড়ি। সঙ্গে ভারী আফগানি গয়নায়, হাল্কা মেকআপে, গোছ করে বাঁধা চুলে, ছোট্ট টিপে গ্রীষ্ম-সন্ধ্যার পার্টি লুক এক্কেবারে জমজমাট। তাঁর মতোই গাঢ় রং বেছে নিয়েছেন দেবদত্তও। তাঁর উজ্জ্বল নীলরঙা পাঞ্জাবীর অর্ধেকটা জুড়ে সাদা বুটির নকশা ঠাসা। সঙ্গে চওড়া লাল নকশাপাড় ধুতিতে পাক্কা বাঙালিবাবুটি যেন!  

তাঁদের পর্দা-প্রেমে তাল দিয়েছিল তালমা। বাস্তবে খাস কলকাতায় বৈশাখী সাজে এই রং-মিলন্তিতে কি ধরা রইল তারই রেশ? হাসিতে-খুশিতে ফেলে আসা দিনগুলো ফিরে দেখলেন দেবদত্ত-হিয়া। বাকিটায় বছর শুরুর গল্প লেখা। আলো আর ভালয় এগিয়ে চলার আশা।