আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ 'নো সুগার’ ডায়েটে খাবারে মিষ্টি স্বাদ আনতে খেজুর অন্যতম উপায়।শরীরে শক্তি জোগাতেও খেজুর সাহায্য করে। রোজ একটি করে খেজুর খেলে শরীর শক্তিশালী হয়। ভিতর থেকে চাঙ্গা এবং চনমনে থাকে। তবে শুধু খেজুর খাওয়ার বদলে এর সঙ্গে যদি কিছু খাবার খেতে পারেন তা হলে বাড়তি সুফল পাবেন। খেজুরের গুনাগুনও প্রচুর।
উচ্চমাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম থাকার কারণে শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করে খেজুর। নার্ভের সমস্যা কাটাতে খেজুরের জুড়ি মেলা ভার।
বিভিন্ন রকমের ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে খেজুর।
প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় দাঁতের রোগে উপকার করে খেজুর। নাইট ব্লাইন্ডনেস বা রাত্রিকালীন অন্ধত্বের সমস্যা মেটায়।
পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-কে, এসেনসিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় নিয়মিত খেজুর খেলে বোন মেটাবলিজম ঠিক থাকে এবং অস্টিওপোরোসিসের আশঙ্কা কম থাকে।
দিনের যেকোনও সময় দু'চারটে খেজুর মুখে পুরে দিচ্ছেন। তাতে এর খাদ্যগুণও অবশ্যই আপনার শরীরে যাচ্ছে। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু খাবারের সঙ্গে খেজুর খেলে এর খাদ্যগুণ অনেকাংশে বেড়ে যায়। জানেন কি সেই খাবার?
সকালে অনেকেই ব্রেকফাস্টে ওটস, স্মুদি বা দুধের সঙ্গে মুসলি,কর্নফ্লেক্স খেতে পছন্দ করেন।স্বাদও মিষ্টি মিষ্টি হবে। শরীরও পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। খেজুর দু’টোই পেটের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। দিনের শুরুতে খেলে শরীরও চাঙ্গা থাকে। জলখাবারে এই পদগুলোর সঙ্গে খেজুর খেলে উপকার পাবেন দ্বিগুণ, পেটও ভরবে।
খেজুরের সঙ্গে কাঠবাদাম ও ডার্ক চকোলেট খেলেও দারুণ উপকার পাওয়া যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, লিভার ভাল রাখতে, হার্টের খেয়াল রাখতে, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং অনিদ্রা দূর করতেও খেজুরের সঙ্গে কাঠবাদাম ও চকোলেটের জুটি অনবদ্য। কাঠবাদাম, খেজুর এবং অল্প মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।
ডার্ক চকোলেট এবং খেজুর অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর জুটি। ডার্ক চকোলেটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়। রক্ত চলাচলও সচল রাখে ডার্ক চকোলেট। ডার্ক চকোলেটের সঙ্গে খেজুর খেলে আরও বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়।
বেশি উপকারের আশায় মুঠো মুঠো খেজুর খেয়ে নেবেন না।হিতের বিপরীত হতে পারে।খেজুর মিষ্টিজাতীয় ফল, তাই বেশি খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। উপকার পেতে গেলে রোজ মাত্র তিনটি খেজুর খাওয়াই যথেষ্ট।
