অন্ধকার, নোংরা এবং স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বংশবিস্তার করতে পারে আরশোলা। কখনও কখনও এই প্রাণীর উপদ্রবে ঘুম ছোটার জোগাড় হয় গৃহস্থের। বাড়িতে রান্নাঘরে এবং বাথরুমে সব থেকে বেশি আরশোলার উপদ্রব দেখা যায়। বিশেষ করে রাতের বেলায় নিস্তব্ধ পরিবেশে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায় আরশোলা। অনেকেই আরশোলা তাড়ানোর জন্য স্প্রে ব্যবহার করেন। কিন্তু এই বাজার চলতি স্প্রেগুলি যেমন নি:শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তেমনই অনেক সময়ে স্প্রে করেও তেমন লাভ হয় না। সেক্ষেত্র ঘরোয়া টোটকায় রেহাই পেতে পারেন। জানেন কি আরশোলা একটি সাধারণ গন্ধ সহ্য করতে পারে না। যা হল তেজপাতা। রান্নাঘরের এই সহজলভ্য উপাদানেই আরশোলা থেকে নিস্তার পেতে পারেন।
তেজপাতায় থাকে ইউক্যালিপটল (নামের একটি প্রাকৃতিক যৌগ। এর তীব্র গন্ধ আরশোলার জন্য অসহনীয়। ফলে যেখানে তেজপাতা থাকে সেখানে আরশোলা আসতে চায় না। যদিও তেজপাতা তেজপাতা মেরে ফেলতে পারে না, তবে এই পোকাকে দূরে রাখতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
ব্যবহার পদ্ধতি
রান্নাঘরের আলমারি, ড্রয়ার, সিঙ্কের নিচে কিংবা খাবার রাখার জায়গায় কয়েকটি তেজপাতা রেখে দিন।পাতাগুলো হালকা চূর্ণ করে রাখলে গন্ধ আরও বেশি ছড়াবে।কয়েক সপ্তাহ পর পর পুরনো পাতার পরিবর্তে নতুন পাতা ব্যবহার করতে হবে।
শুধু তেজপাতাই নয়, আরও কিছু ঘরোয়া উপায়ে আরশোলা তাড়াতে পারেন-
- লবঙ্গ: লবঙ্গর তীব্র গন্ধ তেলাপোকা সহ্য করতে পারে না।
- নিমপাতা বা নিমের তেল: প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে কাজ করে। নিম তেল অথবা নিম পাউডার আরশোলার জন্য বিষ। জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিন। এই তেল অন্যান্য কীটপতঙ্গও দূর করে।
- পুদিনা বা পেপারমিন্ট অয়েল: ঘরে পুদিনা বা পেপারমিন্ট অয়েল স্প্রে করলে আরশোলা পালিয়ে যায়।

- শশার খোসা: কিছু ক্ষেত্রে শশার কাঁচা গন্ধ আরশোলার পছন্দ নয়। তাই আরশোলা তাড়াতে শশাও প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।
- পেঁয়াজ- রসুন, পেঁয়াজ এবং লাল লঙ্কার পেস্ট তৈরি করে জলে ফোটান। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি স্প্রে বোতলে নিন। বাড়ির যেখানে আরশোলা দেখবেন সেখানেই ছড়িয়ে দিন। মিশ্রণটির কড়া গন্ধে দ্রুত পালাবে আরশোলা।
- চিনি এবং বেকিং সোডা- সকলের বাড়িতেই বেকিং সোডা এবং চিনি থাকে৷ একটি পাত্রে চিনি এবং বেকিং সোডা গুঁড়ো মিশিয়ে যে সমস্ত জায়গায় আরশোলার বাড়বাড়ন্ত, সেখানে ছড়িয়ে দিন। এতেই দ্রুত আরশোলার উপদ্রব কমবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরোয়া এই টোটকা নিয়মিত ব্যবহার করলে তেলাপোকার উপদ্রব অনেকটাই কমানো যায়। তবে উপদ্রব যদি খুব বেশি হয়, সেক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহার করত পারেন।
