আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধুর উপকারিতার শেষ নেই। শীতকাল তো বটেই, সারা বছরই মধু খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কেউ সর্দি-কাশি কমানোর জন্য মধু খান, আবার কেউ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গরম জলে মধু মিশিয়ে খান। মধুতে ৩৮ শতাংশ ফ্রুকটোজ, ৩১ শতাংশ গ্লুকোজ, ১৭ শতাংশ জল, ৭ শতাংশ ম্যালটোজ, ৪ শতাংশ শর্করা থাকে। মধুতে থাকা শর্করাটুকুও রেচন প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত গ্লুকোজে পরিণত হয়। এতে সামান্য পরিমাণে প্রোটিনও পাওয়া যায়। মধু ঘন শর্করা জাতীয় একটি খাদ্য। অনেকের মতে, মধু মিষ্টি জাতীয় খাবার হলেও ডায়াবিটিস রোগীদের খাওয়া নিরাপদ। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা অনেক সময়েই চিনির বদলে মধু খান। কিন্তু তা কি আদৌ ঠিক? ডায়াবেটিস হলে কি মধু খাওয়া যায়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, একথা নিশ্চিত যে চিনি মধুর চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। কারণ চিনিতে কোনও ধরণের ভিটামিন বা খনিজ থাকে না। তবে এর অর্থ এই নয় যে ইচ্ছামতো মধু খাওয়া ঠিক। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মধুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই)স্কোর ৫৮। যেখানে চিনির ৬০ জিআই স্কোর। অর্থাৎ চিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা যতটা বাড়বে তার চেয়ে মধু খেলে সামান্য কম বাড়বে। তাই ডায়াবেটিকরা চাইলে মধু খেতে পারেন। তবে তা মোটেও সঠিক বিকল্প নয়। অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে মধু খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে ইনসুলিন নিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মধু খান। 

ডায়াবেটিস এবং মধু নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। গবেষণাগুলিতে অনেক পৃথক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। আসলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস সম্পর্কে সকল বিশেষজ্ঞের মতামত এক নয়। কারণ মধুতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যাদের প্রদাহজনিত সমস্যা থাকে তাদের জন্য এই বৈশিষ্ট্যগুলি উপকারী। তবে এই উপাদানগুলির জন্য মধু একমাত্র বিকল্প নয়, এমনটাই মনে করে পুষ্টিবিদদের একাংশ।