আজকাল ওয়েবডেস্কঃ কোনো ধর্মীয় উপাচার মানেই ধূপকাঠির ব্যবহার। এটাই আমাদের দেশের রীতি, যা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। বাড়িতে পুজোর সময় বাড়িতে ধূপকাঠি ব্যবহার করেন? তা হলে এখনই সাবধান হয়ে যান। সুন্দর গন্ধের জন্য যে ধূপকাঠি ব্যবহার করি আমরা, তার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর বিষ! বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূপকাঠির ধোঁয়া, সিগারেট খাওয়ার থেকেও অনেক বেশি ক্ষতিকর। ক্রমাগত ধূপকাঠির ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করতে থাকলে ফুসফুস ও শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দেখা দেয়।
বাড়িতে পূজার্চনার জন্য ধূপকাঠি আমরা নিয়মিতই ব্যবহার করে থাকি। ধূপকাঠির সুগন্ধে ঘর যেন ম-ম করে, বেছে বেছে এমন ধূপকাঠি কিনে বাড়িতে জ্বালাই। কিন্তু এই ধূপকাঠিই যে প্রাণঘাতী হতে পারে, তা আমাদের অনেকেরই অজানা। ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে তো বটেই, ধূমপান করেন না এমন ব্যক্তিদের জন্য ধূপকাঠির ধোঁয়া চরম ক্ষতিকর। ধোঁয়ায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনেক দূষণ কণা থাকে, যেগুলো বাতাসে মিশে যায়, যা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। ধূপকাঠির ধোঁয়ায় তিন ধরনের বিষ থাকে— মিউটাজেনিক, জিনোটক্সিক এবং সাইটোটক্সিক। যা থেকে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়।
ধূপের ধোঁয়ায় অনেকক্ষণ থাকলে চোখ থেকে জল পড়া এবং স্কিনের নানাবিধ সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সেই কারণেই তো গর্ভবতী মহিলাদের ধুপের ধোঁয়ার মধ্যে থাকতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। অ্যাজমা রোগীদের ভুলেও ধূপের ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে তাদের শরীরে প্রদাহ বেড়ে যায়। ফলে শ্বাসকষ্ট সহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এখানেই শেষ নয়, ধূপের ধোঁয়ার কারণে ব্রঙ্কিয়াল টিউবে জ্বালা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ধূপ ব্যবহার করলে আপার রেসপিরেটারি ট্রাক্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে লাং ক্যান্সারসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই নিজের এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের শরীরের কথা ভেবে আজ থেকেই ধূপের ব্যবহার বন্ধ করুন। ধূপে উপস্থিত কার্বোন মনোঅক্সাইড, সালফার ডিওঅক্সাইড এবং ক্ষতিকারণ মনাইট্রোজেন দিনের পর দিন ধরে শরীরে প্রবেশ করতে থাকলে অ্যাজমা এবং সিওপিডি-এর মতো রোগের প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়।
