আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আজকাল অনেকেই স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন। কিন্তু তাতেও সবসময় তাঁদের শরীরের হাল খুব একটা বদলায় না। আসলে সুস্বাস্থ্যের জন্য শুধু খাদ্যাভাসই নয়, কখন কী খাচ্ছেন, কীভাবে খাচ্ছেন এবং খাওয়ার আগে-পরে সঠিক নিয়ম নিয়ম পালন করছেন কিনা সবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন খাবার খাওয়ার পর কয়েকটি নিয়ম মেনে না চললে শরীর-স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব পড়ে। 

১. খাওয়ার পরই ঘুমঃ অনেকেই খাওয়ার পর সোজা ঘুমাতে চলে যান। আর এতেই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে বদহজমের দরুন স্থূলতা, অনিদ্রার মতো সমস্যার খপ্পরেও পড়তে পারেন। তাই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে খাওয়ার পরই ঘুমের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

২. ধূমপানঃ খাওয়ার পর শরীরের হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয় এবং এই সময়ে ধূমপান করলে নিকোটিন শরীরে দ্রুত শোষিত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য, বিশেষ করে ক্যানসারের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। তাই ধূমপান করলেও খাওয়ার অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরে করুন। সম্পূর্ণরূপে ধূমপান বর্জন করাই সবচেয়ে ভাল। 

৩. জল অথবা চা পানঃ তবে চায়ে উপস্থিত ট্যানিন শরীরে আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ শোষণে বাধা দেয়, যা পুষ্টির ঘাটতি তৈরি করতে পারে। একইসঙ্গে অনেকে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল পান করেন যা হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। তাই খাওয়ার সঙ্গে জল বা চা পান করার জন্য কমপক্ষে ৩০ মিনিটের ব্যবধান রাখুন।

৪. খাওয়ার পরপরই হাঁটাঃ খাওয়ার পর হাঁটাচলা উপকারী ঠিকই, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে হাঁটলে তা পরিপাকতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এটি হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে এবং রক্ত প্রবাহ পাকস্থলীর পরিবর্তে পেশির দিকে যায়। ফলে খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না। খাওয়ার পর ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর হাঁটলে খাবার দ্রুত হজম হয়। 

৫. খেয়েদেয়ে স্নানঃ যদি আপনার খাওয়ার পর পরই স্নানের অভ্যাস থাকে তাহলে এটি পরবর্তন করুন। কারণ খাবার খাওয়ার পর শরীরের শক্তি হজমে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু যখন আপনি সঙ্গে সঙ্গে স্নান করেন, তখন শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তিত হয় এবং রক্ত প্রবাহ পাকস্থলী থেকে ত্বকে স্থানান্তরিত হয়। এটি হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং পেটের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই খাওয়ার আগে অথবা খাওয়ার ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরে স্নান করুন।