আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ঋতুস্রাবের সময় দুর্বলতা, পেটে যন্ত্রণা, মেজাজ হারানো, এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন না এমন মহিলা বিরল। মাসের পর মাস যাবতীয় সমস্যা সামলেই চলে জীবন। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই মুঠো মুঠো ওষুধ খেতে বাধ্য হন। কিন্তু দীর্ঘদিন এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। বরং ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি নিরাপদ পন্থায়। তাহলেই প্রতি মাসে পাবেন স্বস্তি।
১. হিট থেরাপিঃ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হিট থেরাপি ঋতুস্রাবের ব্যথা উপশমে দারুণ কার্যকরী। হিটিং প্যাড বা গরম জলের বোতল রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং জরায়ুর পেশিগুলিকে শিথিল করে। তাই পিরিয়ডের সময়ে এই পন্থা প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। গরম জলে স্নান করলেও স্বস্তি পাওয়া যায় এবং মেজাজও ঠিক থাকবে।
 
 ২. ভেষজ প্রতিকারঃ ঋতুস্রাবের ব্যথায় কয়েকটি আর্য়ুবেদিক পানীয় খেলে উপকার পাওয়া যায়। যেমন আদা, ক্যামোমাইল বা মৌরি দিয়ে তৈরি চায়ের প্রদাহ-বিরোধী এবং 'স্পাসমোডিক' প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে আদা ব্যথার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে। তবে দুধ, চিনি দেওয়া চা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। 
 
 ৩. ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন বি১ঃ ম্যাগনেশিয়াম পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন উৎপাদন কমাতে পারে। ভিটামিন বি১ স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং এনার্জি মেটাবলিসম ঠিক রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে এই ভিটামিন ও খনিজের মাত্রা ঠিক থাকলে ঋতুস্রাবের ক্র্যাম্পের সমস্যায় স্বস্তি পাওয়া যায়। 
 
 ৪. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডঃ ওমেগা-৩ প্রদাহ-বিরোধী। এটি ক্র্যাম্পের তীব্রতা কমাতে এবং ঋতুস্রাবচক্র চলাকালীন মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য খাদ্যতালিকায় চর্বিযুক্ত মাছ এবং সাপ্লিমেন্টে রাখতে পারেন। 
 
 ৫. শারীরিকভাবে সক্রিয় ও ব্যায়ামঃ হাঁটা বা যোগব্যায়ামের মতো হালকা শারীরিক কার্যকলাপ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। সঙ্গে শরীরের প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমকারী এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে। এমনকী বিশেষজ্ঞদের মতে, হালকা স্ট্রেচিংও লক্ষণীয় পার্থক্য আনতে পারে।
