আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সকালে ঘুম থেকেই উঠেই হাতের আঙুল ভাঁজ করতে পারছেন না? কিংবা পায়ের আঙুলে অসহ্য ব্যথা? উত্তর যদি হয় হ্যাঁ, তাহলে হতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণই দেখা দিয়েছে আপনার শরীরে। রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো তরুণ তুর্কিদের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাও আজকাল আর খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। এদিকে সময় থাকতেই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে না রাখলে বাড়তে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা।
 
 ইউরিক অ্যাসিড একটি বর্জ্য পদার্থ, যা পিউরিন নামক উপাদানের ভাঙনের ফলে শরীরে তৈরি হয়। পিউরিন অনেক ধরনের খাবারে পাওয়া যায়। শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিড জমতে থাকলে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলাভাব, শক্ত হয়ে যাওয়া এবং হাঁটাচলা করতে সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে যারা বেশি প্রোটিন, রেট নিট বা অ্যালকোহল পান করেন তাঁরা ইউরিক এসিডে বেশি ভুগছেন। যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে ঘরোয়া পদ্ধতিতেও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ রোজ সকালে এক গ্লাস খান এই বিশেষ পানীয়, বুড়ো শরীরেও আসবে ঘোড়ার মতো শক্তি, দূর হবে দুর্বলতা
 
 শহুরে জীবনযাত্রা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে অনেকেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে যেমন ওষুধ প্রয়োজন, তেমনই দরকার সঠিক খাদ্যাভ্যাস। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এমন কিছু ঘরোয়া প্রাকৃতিক পানীয়ের উল্লেখ আছে যেগুলি নিয়মিত সেবনে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। আপনি যদি ওষুধ ছাড়াই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে একটি সহজ এবং কার্যকর সমাধান হতে পারে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম জলে এই বিশেষ পানীয় মিশিয়ে খেলেই ধীরে ধীরে কমে যাবে ইউরিক অ্যাসিড। 
 
 বিশেষ পদ্ধতিতে আপেল মজিয়ে তৈরি করা হয় অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। প্রোবায়োটিক, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই তরলটি। সঠিক পরিমাণে জলমিশ্রিত অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের পানীয় খেলে দূরে থাকে অনেক রোগভোগ।
কীভাবে আপেল সাইডার ভিনিগার কাজ করে
আপেল সিডার ভিনিগার শরীরে উপস্থিত অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত অ্যাসিটিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য উৎসেচক বিপাক বাড়ায় এবং কিডনিকে ইউরিক অ্যাসিড নিঃসরণে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি শরীরকে টক্সিনমুক্ত করতেও সাহায্য করে যা শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের জমা কমায়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন
গরম জলে ১ থেকে ২ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। সকালে খালি পেটে অন্তত ২-৩ সপ্তাহ এটি পান করলেই উপকার পাবেন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেলে বাড়তি মেদ কমবে ম্যাজিকের মতো। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত এই ভিনিগার খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্যের জন্যও এটি ভাল। এছাড়াও ত্বক ও চুল ঠিক রাখতেও অ্যাপেল সাইডার কার্যকরী।
সাবধানতা
আপেল সিডার ভিনিগার অ্যাসিডিক। তাই সবসময় এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে খান।যদি আপনার অ্যাসিডিটি, আলসার বা পেটের কোনও গুরুতর সমস্যা থাকে, তাহলে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান। আপেল সাইডার ভিনিগার বেশি পরিমাণে খেলে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হতে পারে৷ তাই স্ট্র দিয়ে পান করা ভাল।
