আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বহুকাল আগে থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমলকির উপকারিতার উল্লেখ রয়েছে। অনেকেই সকালবেলায় খালি পেটে আমলকির রস খেয়ে থাকেন। আর এর সঙ্গে সজনে পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে খেলেই এর গুণাগুন বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ইদানীং আমলকি ও সজনে পাতার গুঁড়োর এই 'শট' খাওয়ার চল বেড়েছে। নিয়মিত এই সবুজ জুস খেলে শরীরে কী কী প্রভাব পড়বে, জেনে নিন-
* আমলকিতে লেবুর তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। সজনে পাতার গুঁড়ো প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। আর এই দুইয়ের মিশ্রণ শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, সঙ্গে সার্বিকভাবে শরীরের বহুবিধ উপকার করে। আর এটি খালি পেটে খেলেই সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। 
 
 * আমলা এবং সজনে দুটিই কোয়ারসেটিন এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই যৌগগুলি মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। যার ফলে অকাল বার্ধক্য আসে না, মানসিক স্বাস্থ্যও ঠিক থাকে। 
 
 * ডিটক্সের সঙ্গেই এই পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। আমলকি গ্যাস্ট্রিক রসকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে এবং লিভারের উৎসেচকগুলিকে ঠিক রাখে। সবমিলিয়ে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। 
 
 * আমলকি ও মরিঙ্গার শট লিভারের স্বাস্থ্যর জন্য দারুণ উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সজনে পাতার নির্যাস লিভারে চর্বি জমা কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত কার্যকরী। অন্যদিকে, আমলকি গ্লুটাথিয়ন বাড়ায়। সঙ্গে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে লিভারকে টক্সিনমুক্ত করতে সাহায্য করে।
 
 * সজনেতে নয়টি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারে বিরল। তাই এটি সকালে খেলে এই অ্যামিনো অ্যাসিডগুলি ভালভাবে শোষিত হয় এবং পেশী মেরামত এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আমলার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য শরীরে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। যারা যোগব্যায়াম বা হালকা ব্যায়াম করেন তাঁদের পেশীর কার্যকারিতাও ঠিক রাখে। 
 
 * আয়ুর্বেদে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য আমলকির ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে। সজনেও চুল ও ত্বকে পুষ্টি জোগায়। তাই নামীদামি প্রসাধনীর পরিবর্তে ত্বকের হাইড্রেশন ও চুল ভাল রাখতে নিয়মিত খান আমলকি ও সজনে পাতার গুঁড়োর রস।
