আজকাল ওয়েবডেস্ক: জীবনধারার মানোন্নয়ন করার কোর্স করানো হয় ওয়ানটেস্ট নামক একটি ‘শিক্ষামূলক’ প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু তার পেছনে রয়েছে এক অন্ধকার দিক। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নিকোল ডায়েডন এবং সেলস-এর প্রধান র‍্যাচেল চারুইজ-এর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে যা দেখে চমকে উঠেছে গোটা বিশ্ব। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংস্থার কর্মীদের নাকি অফিসের মধ্যেই সঙ্গম করতে বাধ্য করতেন তাঁরা!

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে প্রতিষ্ঠিত হয় সংস্থাটি। সম্প্রতি একের পর এক অভিযোগ ওঠে সংস্থার বিরুদ্ধে। সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়েডন এবং র‍্যাচেল এমন মানুষদের নিশানা করতেন যাঁদের জীবনে কোনও না কোনও ধরনের যৌন সমস্যা আছে। তার পর তাঁদের বিভিন্নভাবে বিরূপ পথে চালিত করতেন।

আমেরিকার একটি আদালতে গোটা বিষয়টি নিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুনানির প্রথমদিন সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মী বয়ান দিয়েছেন, কর্মীরা অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে র‍্যাচেল তাঁদের তক্ষুনি পরস্পরের সঙ্গে সঙ্গম করার আদেশ দেন। এখানেই শেষ নয়, অফিসের ভিতরেই একই বিছানায় শোয়া এবং প্রতিদিন অফিসে ঢুকেই ১৫ মিনিট হস্তমৈথুন করার নির্দেশ দেওয়া হত কর্মচারীদের। কর্মীদের ২৪ ঘণ্টা টানা কাজ করানো এবং কোনও রকম ছুটি না দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে দুই কর্ত্রীর উপর। ওই কর্মীর বয়ানে উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁকে নাকি হাত বা বাঁধা এক কর্মীর সঙ্গে সঙ্গমে বাধ্য করা হয়।

অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী অবশ্য এই সব অভিযোগই মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। উল্টে দাবি করেছেন তাঁর মক্কেল একজন অত্যন্ত সফল শিল্পদ্যোগী। সবমিলিয়ে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই বিচার চলবে বলে খবর। বিষয়টির উপর নজর রাখছে নেটফ্লিক্সও। গোটা বিষয়টি নিয়ে একটি তথ্যচিত্র করতে পারে সংস্থাটি, তেমনই খবর সংস্থা সূত্রে।