আজকাল ওয়েবডেস্কঃ মোবাইল কেন্দ্রিক শৈশব এখন অধিকাংশ শিশুর। এ যেন এক রোগের বাতাবরণ। আপাতদৃষ্টিতে তেমন কিছু মনে না হলেও বিপজ্জনক এই নেশায় দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। এমনকী মোবাইলের আসক্তিকে শিশুর আচরণগত পরিবর্তনও দেখা যায়। আপনার সন্তানের মধ্যেও কি তেমন কোনও বদল এসেছে? সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি লক্ষণ নজরে এলে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়া জরুরি। 

১. বিরক্তি এবং দ্রুত রেগে যাওয়াঃ মোবাইল থেকে শিশু তাৎক্ষণিক আনন্দ পায়। ধীরে ধীরে এই বিনোদনই আসক্তিতে পরিণত হয়। তাই ফোন কেড়ে নিলে সে অল্পেতেই রেগে যায়। এক্ষেত্রে ছোটখাটো বিষয়ে চিৎকার করা বা রেগে যাওয়া একটি সাধারণ লক্ষণ।
২. সামাজিক দক্ষতা হ্রাসঃ শিশুদের উপর মোবাইলের বহু নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফোনের জগতে বিনোদন খুঁজে পাওয়ায় অনেক সময়ে খুদে সদস্যটি সকলের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। বাবা-মা, বন্ধু, স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেও কথা বলতে চায় না। একটি বদ্ধ জায়গায় শিশু নিজেকে আবদ্ধ করে রাখতে চায়, যা তাদের সার্বিক বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। 
৩. মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যাওয়াঃ ক্রমাগত মোবাইল দেখার ফলে শিশুদের মনোযোগ মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই অন্যদিকে সরে যেতে শুরু করে। স্কুলে বা পড়াশোনার সময় তাদের মনোযোগ কমতে পারে। ছোটখাটো জিনিসও ভুলে যেতে শুরু করে। এই ধরণের আচরণ উপেক্ষা করা উচিত নয়।
৪. ঘুমের ব্যাঘাতঃ ফোনের নীল আলো ঘুমের মান নষ্ট করে। ফোনের প্রতি আসক্তি হলে শিশুরা রাত পর্যন্ত জেগে থাকে এবং সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে। যার কারণে তারা ছোট বিষয়ে বিরক্ত হয়ে ওঠে। এমনকী অনেক জটিল রোগেরও শিকার হতে পারে।
৫. একগুঁয়ে এবং অসহযোগী মনোভাবঃ মোবাইলের অভ্যাসের কারণে শিশুরা প্রায়ই সবকিছুতেই 'না' বলতে শুরু করে। ক্রমাগত অভিভাবকদের অবাধ্য হতে থাকে, নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করতে চায়। সবকিছুতেই একগুঁয়ে হয়ে ওঠে। এই লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হওয়া জরুরি।