আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজোড়া জনপ্রিয় বুলগেরীয় ভবিষ্যদ্বক্তা বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে ফের একবার চর্চা শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের শেষ ৮০ দিনে তিনটি রাশির জাতকদের জীবনে নাকি আসতে পারে অপ্রত্যাশিত সৌভাগ্য— এমনটাই দাবি করছেন তাঁর অনুসারীরা।
বছরের শেষ পর্যায়ে এসে বাবা ভাঙ্গার পুরনো ভবিষ্যদ্বাণীগুলির ব্যাখ্যা ঘিরে আবারও আগ্রহ দেখা দিয়েছে। রহস্যময় পূর্বাভাসের জন্য খ্যাত এই অন্ধ সাধিকা জীবদ্দশায় বহু আন্তর্জাতিক  ঘটনাই পূর্বাভাস করেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাঁর অনুগামীদের মতে, ২০২৫ সাল সম্পর্কে বাবা ভাঙ্গা যেমন অস্থিরতা, সংঘাত ও পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন, তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বছরের শেষ প্রান্তে তিনটি রাশির জন্য এক বিশেষ শুভ সময়ের।

জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যাখ্যানুসারে, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বৃষ, মিথুন ও কুম্ভ রাশির জাতকদের জন্য নতুন সুযোগ, আর্থিক লাভ ও পেশাগত উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। বৃষ রাশির জাতকদের জন্য প্রেম ও সৌন্দর্যের গ্রহ শুক্রের প্রভাব এই সময় বিশেষ অনুকূল থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের ফল মিলতে পারে, সামাজিক মর্যাদা বাড়তে পারে, এবং জীবনের নানা বাধা ধীরে ধীরে দূর হতে পারে বলে জ্যোতিষীদের ধারণা।

মিথুন রাশির জাতকরা, যাঁদের শাসক গ্রহ বুধ, তাঁদের জন্য এই সময় জীবনের নানা ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতের জটিলতা ও চাপ হ্রাস পেতে পারে, নতুন আর্থিক সুযোগ বা কর্মজীবনে উন্নতির সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি মানসিক শান্তি ও পারিবারিক সম্পর্কের স্থিতিও বাড়তে পারে বলে বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: গণপতির কৃপায় তুঙ্গ সুখে একাধিক রাশি! আনন্দের সমুদ্রে ভাসবে কারা? অর্থবৃষ্টি কাদের উপর?

কুম্ভ রাশির জাতকদের জন্য এই সময়টিকে রূপান্তরের পর্ব বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শনির সাড়ে সাতির শেষ পর্যায় চলছে, তবুও বাবা ভাঙ্গার  অনুসারীরা বিশ্বাস করেন এই পর্যায় থেকেই নাকি মিলতে পারে জীবনের বড় সাফল্য। কর্মক্ষেত্রে উন্নতি, অর্থনৈতিক স্থিতি, দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যপূরণ এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলতে পারে এই সময়ে।

তবে জ্যোতিষবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সমস্ত পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে এগোনো উচিত। বাবা ভাঙ্গার  ভবিষ্যদ্বাণীগুলির ব্যাখ্যা নানা সময়ে নানা রকম হয়েছে, তাই অন্ধ বিশ্বাস না করে ব্যক্তিগত বিচারবোধ ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত সমস্ত বক্তব্য জ্যোতিষীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে, বৈজ্ঞানিক সত্য হিসেবে একে গণ্য করা যায় না। পাঠকদের নিজের বিবেচনা অনুযায়ী এই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণীর মূল্যায়ন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।