আজকাল ওয়েবডেস্ক: তাঁর আসল নাম ভাঙ্গেলিয়া পান্ডেভা গ্যাস্টেরোভা। যদিও অধিকাংশ মানুষ তাঁকে চেনেন বাবা ভাঙ্গা নামে। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা বারবার তাক লাগিয়েছিল বিশ্বকে। বুলগেরিয়ার এই জ্যোতিষী ১৯৯৬ সালে মারা যান। কিন্তু তার আগে তিনি একবিংশ শতাব্দীরও ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন। ৯/১১ হামলা থেকে শুরু করে রাজকুমারী ডায়নার মৃত্যু, চেরনোবিল বিপর্যয় থেকে ব্রেক্সিট সম্পর্কে করা তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া মায়ানমারের ভূমিকম্প নিয়েও সতর্কবার্তা শুনিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা। তাঁর অনুগামীদের মতে, বাবা ভাঙ্গা আগেই জানিয়েছিলেন যে ২০২৫ সালের শুরুতেই বড়সড় ভূমিকম্প হবে। আর এই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাওয়ার পর ফের একবার আলোচনা শুরু হয়েছে তাঁকে নিয়ে। কারণ শুধু ভূমিকম্প নয়, ২০২৫ নিয়ে আরও বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী নাকি করে গিয়ে তিনি।
আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
আরও পড়ুন: ১২ জন স্ত্রী! বাচ্চা করাই নেশা! ১০২ সন্তানের বাবা হয়ে অবশেষে থামলেন ৬৮-র মুসা, কেন ক্ষান্ত দিলেন? কী বললেন এ যুগের ধৃতরাষ্ট্র?
কী কী রয়েছে সেই ভবিষ্যদ্বাণীতে? তাঁর অনুগামীদের কথা অনুযায়ী, বাবা ভাঙ্গা জানিয়ে গিয়েছেন, ২০২৫ সালে যুদ্ধ লাগতে চলেছে ইউরোপ জুড়ে। শুরু হতে চলেছে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। এমনকী তিনি নাকি এও বলে গিয়েছেন যে, “৫০৭৯ সালে ধ্বংস হবে মানব সভ্যতা আর তার সূচনা হবে ২০২৫ থেকেই।”
তবে বর্তমানে যে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে সেটি হল, এলিয়েন বা ভিনগ্রহী। এ বছরেই কি ভিনগ্রহীদের সঙ্গে দেখা হবে মানুষের? বাবা ভাঙ্গার সেই চাঞ্চল্যকর ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাবে বলে দাবি করলেন ‘জীবন্ত নস্ট্রাদামুস’।
পঞ্চদশ শতকের ফরাসি ভবিষ্যদ্রষ্টা নস্ট্রাদামুসের নাম শোনেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। এ বার তাঁরই নামাঙ্কিত ‘বর্তমান যুগের নস্ট্রাদামুস’ হিসেবে পরিচিত অ্যাথোস সালোমে এক চাঞ্চল্যকর ভবিষ্যদ্বাণী করলেন। তাঁর দাবি, চলতি বছরেই ভিনগ্রহের প্রাণীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে চলেছে মানবজাতির।
ব্রাজিলের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী সালোমে নিজেকে এক জন অতীন্দ্রিয় বিশেষজ্ঞ এবং ভবিষ্যদ্বক্তা হিসেবে পরিচয় দেন। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, বাবা ভাঙ্গা বলে গিয়েছিলেন এই বছরই ভিনগ্রহের প্রাণীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে মানুষের। সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাবে। প্রযুক্তির অবিশ্বাস্য অগ্রগতি এবং মহাকাশ গবেষণার প্রসারের ফলেই মানবজাতির সঙ্গে মহাজাগতিক প্রাণের সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে বলে মত তাঁর।
সালোমে ব্যাখ্যা করে বলেন, “জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের দৌলতে মানবজাতি অবশেষে ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের প্রশ্নের চূড়ান্ত উত্তর পাবে। একই সঙ্গে, আমেরিকার মতো বিভিন্ন দেশের সরকারও হয়তো ‘ইউএফও’ সংক্রান্ত গোপন নথি সর্বসমক্ষে প্রকাশ করে দেবে।” তাঁর আরও দাবি, “এই মহাবিশ্ব এবং আমাদের নিজেদের সম্পর্কে ধারণায় এক আমূল বিপ্লব আসতে পারে চলতি বছর।”
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পৃথিবী থেকে নাসার যে টেলিস্কোপটি মহাকাশে যায়, সেটি বর্তমানে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। ইতিমধ্যেই এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের জগতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আবিষ্কার করেছে। এবছর জুন মাসে একটি নতুন এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যে অনেকটা পৃথিবীর মতো। যদিও এখনও পর্যন্ত ভিনগ্রহের কোনও প্রাণীর সন্ধান এই টেলিস্কোপ দিতে পারেনি।
