২১ সেপ্টেম্বর সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। অঙ্কজ্যোতিষ অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণের দিন ৫ মূলাঙ্কের মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে। তাদের উপর সূর্যগ্রহণের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব দেখা দিতে পারে। সূর্যগ্রহণের কারণে ২ মূলাঙ্ক জাতকদের কর্মজীবনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সূর্যগ্রহণের নেতিবাচক প্রভাব
মূলাঙ্ক ২:
সূর্যগ্রহণের দিনে ২ মূলাঙ্কের ব্যক্তিদের মানসিক শান্তি ভঙ্গ হতে পারে। কর্মজীবনে সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের (বসের) সঙ্গে টেনশন তৈরি হতে পারে। এই দিনে বসের সঙ্গে কোনও বিরোধে না জড়ানোই শ্রেয়, নইলে তা আপনার জন্য অশুভ প্রমাণ হতে পারে। শুধু কর্মস্থলেই নয়, অন্যান্য স্থানেও এদিন বিতর্ক এড়িয়ে চলা ভাল হবে।
মূলাঙ্ক ৩:
সূর্যগ্রহণের নেতিবাচক প্রভাব ৩ মূলাঙ্কের ব্যক্তিদের উপরও পড়তে পারে। এদিন স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে। পুরনো পেটের অসুখ কিংবা পেটব্যথার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এতে পরিবারের সদস্যরাও দুশ্চিন্তায় পড়তে পারেন। এছাড়া এদিন কোনও আর্থিক বিনিয়োগ না করাই উত্তম, কারণ অর্থক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
মূলাঙ্ক ৬:
সূর্যগ্রহণের দিন ৬ মূলাঙ্কের ব্যক্তিদের জন্য চিন্তা ও দুশ্চিন্তায় ভরা হতে পারে। এদিন মনে অকারণ ভয় ভর করতে পারে। অপরিচিত মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতে অস্বস্তি বোধ করবেন। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা আপনার দুশ্চিন্তা আরও বাড়াতে পারে। এদিন আপনার শরীরে শক্তির ঘাটতি দেখা দেবে। ক্লান্তি অনুভব করবেন এবং বাড়িতে বিশ্রাম করতেই বেশি স্বস্তি পাবেন। এদিন কোনও গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি বা ডিল চূড়ান্ত করা থেকে বিরত থাকাই ভাল।
মূলাঙ্ক ৮:
সূর্যগ্রহণের দিনে ৮ মূলাঙ্কের ব্যক্তিদের মন খারাপ থাকবে। কিছু বিষয় আপনার ইচ্ছেমতো না হওয়ায় আপনি অখুশি অনুভব করবেন। এদিন অপ্রয়োজনীয় খরচ বেড়ে যেতে পারে, ফলে সঞ্চয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শরীরে শক্তির ঘাটতি টের পাবেন এবং মানসিক চাপেও ভুগতে পারেন। তবে এদিন যোগ ও ধ্যান করলে উপকার মিলবে।
মূলাঙ্ক ৯:
সূর্যগ্রহণের সময় ৯ মূলাঙ্কের মানুষের মনে কোনও বিষয় নিয়ে দুঃখ আসতে পারে। মনে অপরাধবোধ কাজ করতে পারে কিংবা কোনো ভুলের জন্য অনুতাপ হতে পারে। এদিন কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় এবং কারও সঙ্গে বিরোধেও জড়াবেন না। একা অনুভব করবেন। যদি যানবাহন চালান, তবে সতর্ক থাকুন, আঘাত লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকৃতির প্রতিটি পরিবর্তন মানুষের মনে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জাগায়। সূর্যগ্রহণও তার ব্যতিক্রম নয়। এ সময় আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা, মানসিক শান্তি বজায় রাখা এবং নিজেকে ইতিবাচক চিন্তায় স্থির রাখা সবচেয়ে জরুরি। শেষ পর্যন্ত, গ্রহণ চলে যাবে, কিন্তু সুস্থ মন আর দৃঢ় মানসিকতাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে আলোর পথে।
