আজকাল ওয়েব ডেস্ক: তীব্র গরমে বাইরে বার হলেই ঘেমে নেয়ে একাকার! ঘামের সঙ্গে যখন ব্যাকটেরিয়া যুক্ত হয়, তখন আরও দুর্গন্ধ তৈরি হয়ে যায়। গরমে ঘামের দুর্গন্ধ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর এই দুর্গন্ধ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়! যতই সাজ পোশাক ভাল করুন না কেন, গায়ের দুর্গন্ধ যে ব্যক্তিত্বের উপর প্রভাব ফেলে তা বলাই বাহুল্য! অনেকেই রোজকার জীবনে ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভরসা রাখেন নামিদামি ব্র্যান্ডেড পারফিউমের উপর। কিন্ত তাতেও অনেক সময় সুরাহা মেলে না। সেক্ষেত্রে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকাতে ভরসা রাখলেই হবে মুশকিল আসান। 

১. বেকিং সোডা অনেকটা আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে। তিন-চার ফোঁটা লেবুর রসের সঙ্গে বেকিং সোডার সঙ্গে মিশিয়ে যে সব জায়গায় বেশি ঘাম হয় সেখানে লাগিয়ে নিন। তিন মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এক দিন অন্তর বেকিং সোডা মিশ্রিত জলে স্নান করতে পারেন।  
২. লেবুর রস ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। বাড়িতে থাকা পাতিলেবু দু’টুকরো করে অর্ধেক অংশ বাহুমূলে ঘষুন। এবারে লেবুর রস শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 
৩. প্রতিদিন নিয়ম করে স্নানের আগে টমেটোর রস বাহুমূলে লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই টোটকা ব্যবহার করলে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি মিলবে অনায়াসে। 
৪. স্কিনের বিভিন্ন সমস্যায় নারকেল তেল অত্যন্ত কার্যকরী। ঘামের দুর্গন্ধ কমাতেও ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল। এটি ঘামের ব্যাকটেরিয়াকে নিমিষে দূর করে। 
৫. এক চামচ মধু মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। এর ফলে ঘাম সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর হবে। ফলে ঘামের দুর্গন্ধও হবে না।
৬. গোলাপ জল একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে রোজ স্নানের পর সারা গায়ে লাগাতে পারেন সারা গায়ে। ঘাম যেমন কমবে, হবে না ঘামের দুর্গন্ধও।
৭. স্নানের জলে নিমপাতা কিংবা গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব দূর করবে, গোলাপ সুগন্ধ ছড়াবে।