বড়দিনের ছুটিতে বেড়াতে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনও গন্তব্য ঠিক হয়নি? শীতের ছুটিতে বেড়াতে যাচ্ছেন, আর একটু বরফপাত না পেলে হয়? ঠান্ডার আসল আমেজের সঙ্গে তুষারপাত পেলে, গোটা ট্রিপটাই যেন জমে যাবে! বরফ ঢাকা পাহাড়, সঙ্গে ডিসেম্বরের শেষ, জানুয়ারির গোড়ার দিকে বরফপাত দেখতে চান তাহলে আপনার গন্তব্য কিন্তু ভারতের এই পাঁচটি জায়গার একটি হতেই পারে।
চোপতা: উত্তরাখণ্ডের এই ছোট্ট পার্বত্য গ্রামটি আপনার গন্তব্য হতেই পারে তুষারপাত দেখতে চাইলে। এটি কেদারনাথ অভয়ারণ্যের অংশ। চিরসবুজ জঙ্গল, ঢেউ খেলানো, সবুজ মাঠ নজরে পড়বে এখানে এলে। কিন্তু শীতকাল এলেই আবার এর রূপ বদলে যায়। এই সময় থেকে যে বরফ পড়া শুরু হয়, সেটা সেই মার্চ পর্যন্ত চলে কখনও কখনও। ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে এলে তুষারপাত পেতেই পারেন। চাইলে এখান থেকে তুঙ্গনাথ বা চন্দ্রশিলায় ট্রেক করে যেতে পারেন। চারিদিক সাদা বরফে যেন মোড়ানো থাকে।
অরুণাচল প্রদেশ: শীতের এই সময়টা অরুণাচল প্রদেশও দারুণ তুষারপাত হয়। বরফের চাদরে ঢেকে যায় গোটা উপত্যকা। সেলা পাস থেকে তাওয়াং, জিরো উপত্যকা সবের এক অন্যরকম রূপ ধরা পড়ে এই সময়।
সিকিম এবং সান্দাকফু: উত্তরবঙ্গই বা কম যায় কীসে? আর তার পড়শি সিকিম? শীতকালে সিকিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গের সান্দাকফু অঞ্চলে তুষারপাত হয়। সঙ্গে থাকে গোটা কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর রূপ। উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ এই জায়গায় এলে তো এভারেস্টের দেখাও মেলে। কখনও কখনও কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা একেবারেই কমে যায়। কিন্তু তার মাঝেও ঠান্ডা এবং তুষারপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সিকিমে এল কালা পাত্থর থেকে নাথুলা পাস, লাচেন, লাচুং, গুরুদংমার লেক, ইয়ামথাং ভ্যালি, ইত্যাদি ঘুরে আসতে পারেন। আর তালিকায় গ্যাংটক তো থাকবেই! অন্যদিকে সান্দাকফু গেলে দার্জিলিংয়ে উঁকি দিয়ে আসতেই পারেন একবার। এই সময় শৈলরানির এক অপরূপ রূপ ধরা পড়ে।
লেহ লাদাখ: নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লেহ লাদাখের এক অন্য রূপ ধরা পড়ে। বরফে ঢাকা পড়ার পর নুবরা উপত্যকা, প্যাংগং সো হ্রদকে একেবারেই অন্যরকম লাগে দেখতে। বরফের মধ্যে পাহাড়ি বাড়িগুলো যেভাবে জেগে থাকে সেটা দেখলে মনে হয় যেন পোস্টকার্ডের ছবি। অনেক সময়ই এখানের তাপমাত্রা মাইনাস ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। ফলে শীতের সময় এখানে বেড়াতে গেলে পর্যাপ্ত শীতের জামা নিয়ে যাওয়া উচিত।
কুফরি: হিমাচল প্রদেশের এই জায়গাটিও আদর্শ শীতকালীন ভ্রমণ এবং তুষারপাত দেখার জন্য। স্কিং থেকে স্নোবোর্ডিং, ইত্যাদির স্বাদ পেতে চাইলে বরফে ঢাকা এই পাহাড়ি গ্রামে আসা চাই। সঙ্গে বরফে ঢাকা পর্বতশৃঙ্গের শোভা তো আছেই! শিমলা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটি।
তাহলে আর কী, পছন্দের একটি জায়গা বেছে ব্যাগ প্যাক করে ফেলুন। আর এই শীতে বেরিয়ে পড়ুন পছন্দের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
