আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আজকাল প্রায় সকলেই ব্লটিং বা পেট ফোলার সমস্যার শিকার। অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, এক্সারসাইজের অভাবের কারণে ইদানীং গ্যাস, পেট ফাঁপায় ভুক্তভোগী আট থেকে আশি। পাচন প্রক্রিয়ায় গণ্ডগোলের সঙ্গে ব্লটিংয়ের সমস্যার যোগসূত্র রয়েছে। যা দীর্ঘদিন সাধারণ সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করা মোটেও ঠিক নয়। পেটে গ্যাস জমে গেলে বা পেট ফুলে গেলে ব্লটিং হয়। যার জন্য রোজ ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি খাবারের উপর। তাহলেই মিলবে সমাধান।
১. আদা- হজম ক্ষমতা বাড়াতে বহু যুগ ধরে আদা ব্যবহার করা হয়। রোজকার চায়ে আদা দিলেও গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যায় রেহাই মিলতে পারে।
২. পিপারমিন্ট-পেপারমিন্ট গ্যাস, ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। খাবারের পরে এক কাপ পিপারমিন্ট চা খেতে পারেন। স্যালাড বা স্মুদিতে তাজা পুদিনা দিতে পারেন।
৩. মৌরি- মৌরি বীজের কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টকে শিথিল করে। গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করে। খাওয়ার পরে এক চা চামচ মৌরি বীজ চিবিয়ে খান বা দ্রুত আরামের জন্য মৌরি চা পান করুন।
৪. পেঁপে- পেঁপেতে রয়েছে প্যাপেইন নামক এনজাইম, যা পাকস্থলীর প্রোটিন ভেঙ্গে হজমে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে জলখাবার হিসাবে খেতে পারেন। এটি প্রাকৃতিকভাবে হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. আনারস- আনারসে প্রচুর পরিমাণে ব্রোমেলাইন রয়েছে, এটি এমন একটি এনজাইম যা হজমে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়। তাই গ্যাস এবং ফোলাভাব দূর করতে নিয়মিত আনারস খেতে পারেন।
৬. দই- দইতে প্রোবায়োটিক রয়েছে যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে। গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে দই খাওয়া উচিত।
৭. শশা- শসাতে জলের পরিমাণ বেশি এবং এটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক হিসাবে কাজ করে। পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমায়। স্যালাডে কিংবা ডিটক্স পানীয়তে শশা যোগ করতে পারেন।
৮. ক্যামোমাইল চা- ক্যামোমাইল চা-এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা গ্যাস এবং ফোলাভাব থেকে মুক্তি দেয়। খাওয়ার পর পেট ঠান্ডা রাখার জন্য ক্যামোমাইল চা খেতে পারেন।
৯. হলুদ- হলুদ অন্ত্রের প্রদাহ কমায়। রান্নায় হলুদ দিলে বা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে গ্যাস এবং পেট ফোলা কমে।
১০. পাইন বাদাম- এই ধরনের বাদাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। ফলে হজমে সাহায্য হয়। কমে গ্যাস এবং পেট ফাঁপার সমস্যা।
