আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার সাসপেন্ড হয়েছিলেন। আর মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হল স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ! বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জি এই নোটিশ জারি করেছেন। অধ্যক্ষের দাবি, "অধিবেশনের সময় বিধানসভা কক্ষে ও সাংবাদিক সম্মেলনে যে ভাষায় কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা, তা সংবিধান বিরোধী, উস্কানিমূলক।"

অধ্যক্ষের এই পদক্ষেপে আরও ক্ষুব্ধ শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়করা। মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে সিঁড়িতে বসে মাথায় হলুদ ফেট্টি বেঁধে বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পালেরা। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন সোমবার সাসপেন্ড হওয়া চার বিধায়ক। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, হিন্দুদের হয়ে বিধানসভায় বলার জন্য তাঁকে অন্যায়ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রতিবাদে এ দিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ বয়কট করেছে বিজেপি। সেই সময়ই বিধানসভা কক্ষের বাইরে লাইভ করে বিধানসভার বাইরে থেকে বক্তৃতা দেবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

মঙ্গলবার অধ্যক্ষ বিমান ব্য়ানার্জি বলেছেন, "বিধানসভার অন্দরে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য ভারতীয় সংবিধানের প্রতি কুঠারাঘাত। উনি ধর্মীয় হিংসার উস্কানি দিচ্ছেন। বিধানসভা অধিবেশন কক্ষে কাগজ ছুঁড়ছেন, অধ্যক্ষের দিকে তেড়ে আসছেন। এসব কখনও বরদাস্ত করা হবে না। ওনার মন্তব্যের পরও বাংলায় শান্তি বিরাজ করছে- এটাই অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। এই ধরনের বিবৃতির জন্য মানুষের কাছে ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত।"

তবে বিরোধী দলনেতা সম্পর্কে এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি অধ্যক্ষ বিমান ব্য়ানার্জী। তিনি বলেন, "বিষয়টি বিধানসভার প্রিভিলেজ কমিটি দেখছে, ফলে এ নিয়ে যা বলার উনি ওই কমিটির সামনে বলবেন। বিরোধী দলনেতা নমনীয় আচরণ করে যদি শাস্তি কমানোর আবেদন জানান, সেক্ষেত্রে সেটি বিবেচনা করে দেখা হবে।"

উল্লেখ্য, সোমবার বিধানসভা সরস্বতী পূজো কেন্দ্রীক বিষয়ের প্রেক্ষিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। জানা গিয়েছে, সেই সময় আচমকা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দুরা। শুধু তাই নয়, বিধানসভার অধ্যক্ষের দিকে কাগজ ছোড়েন বলেও অভিযোগ। তারপরেই বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ জরুরি কাগজ ছিঁড়ে ফেলার এবং ছোড়ার ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান। ঘটনায় শুভেন্দু, অগ্নিমিত্রা-সহ চার বিধায়ককে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।