আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর। চলছে এনুমারেশন ফর্ম বিতরনের কাজ। প্রক্রিয়ার প্রথম দিকে কাজের গতি কিছুটা মন্থর থাকলেও, আজ ১২ই নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৯ দিনেই রাজ্যের প্রায় ৯১.১৯% এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ সম্পূর্ণ হয়েছে, বলে জানিয়েছে রাজ্যের জাতীয় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) দপ্তর।
নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকের ধীরগতির পর এখন ফর্ম বিতরণের কাজ রাজ্যের প্রায় সব জেলায় দ্রুতগতিতে চলছে। অধিকাংশ জেলা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই ফর্ম বিতরণের কাজ শেষের পথে।
তবে এখনও কিছু বিধানসভা এলাকা রয়েছে যেখানে কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা শহরের যাদবপুর, কসবা, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, টালিগঞ্জ, নিউ টাউন রাজারহাট, পানিহাটি-সহ মোট ৪০টি বিধানসভা এলাকায় ৭৫ শতাংশের বেশি ফর্ম বিতরণ বাকি রয়েছে।
আধার কার্ড নিলম্বন ও ডবল এন্ট্রি ইস্যু
এছাড়াও দপ্তর জানিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩২ থেকে ৩৪ লক্ষ ভোটার কার্ড নিলম্বিত করা হয়েছে, যেগুলি মৃতদের বলে তথ্য। একইসঙ্গে আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচন কমিশন দপ্তরে এসে প্রায় ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ফর্ম ফেরত দিয়েছেন, যেখানে তিনি ডবল এন্ট্রির অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আধার কর্তৃপক্ষের কাছে সংশ্লিষ্ট ডেটা চেয়ে পাঠিয়েছেন, কিন্তু সম্পূর্ণ তথ্য এখনও দপ্তরের হাতে আসেনি।
রাত ১০টায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
আজ রাতেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের সব জেলা নির্বাচন আধিকারিক (DEO)-দের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
কমিশন সূত্রে খবর, এই বৈঠকে ৪০টি বিধানসভা এলাকায় ফর্ম বিতরণের ধীরগতি, জেলা স্তরের এসআইআর সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা এবং কার্যকর সমাধান নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে এবং যাতে কাজ ত্বরান্বিত হয় সে বিষয়েও নির্দেশ সংক্রান্ত আলোচনা হবে।
সাধারণ মানুষের সহায়তায় বিশেষ উদ্যোগ
নির্বাচন দপ্তর জানিয়েছে, ভোটারদের সহায়তায় একাধিক হেল্প ডেস্ক ও সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। নাগরিকরা সরাসরি CEO দপ্তরে গিয়ে ফর্ম পূরণের সহায়তা পাচ্ছেন।
এছাড়াও ফোন কলের মাধ্যমে হেল্পলাইন পরিষেবা সক্রিয় রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য ভোটার যোগাযোগ করছেন। দপ্তরের কর্মকর্তারা সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছেন যাতে কেউ ফর্ম পূরণে সমস্যায় না পড়েন।
নির্বাচন দপ্তর জানিয়েছে, এই বিশেষ উদ্যোগের ফলে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে এবং সঠিক তথ্যভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করাও আরও নির্ভুল ও স্বচ্ছ হচ্ছে।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশনের লক্ষ্য—“এক ভোটার, এক ভোট” নীতিকে কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।
মুখ্য নির্বাচনীয় আধিকারিক দপ্তর সূত্রে আরও খবর, বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দু'জন বিএলও পরিবর্তন করা হয়েছে। কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে, বিএলও নিজেই 'বিএলএ' এবং 'বিএলও' উভয় দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেই কারণে তাঁকে সরিয়ে নতুন বিএলও নিয়োগ করা হয়েছে, এমনটাই মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দপ্তর সূত্রে খবর।
