আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার সন্ধে থেকে হইচই। একাধিক সূত্রে ছড়িয়ে পড়ে খবর, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করেছেন বিএলও'র কাছ থেকে। তবে তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়তেই, সত্যি জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। জানালেন সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। জানালেন, বাংলার মানুষ সবার আগে। 

বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলকে সঠিক তথ্য এবং বার্তা দেওয়ার জন্য পোস্ট দেন মমতা ব্যানার্জি। তাতে তিনি লিখেছেন, 'গতকাল দায়িত্বপ্রাপ্ত BLO আমাদের পাড়ায় এসেছিলেন তাঁদের নির্দিষ্ট কাজ করতে। কর্মসূত্রে, আমার রেসিডেন্স অফিসে এসে – রেসিডেন্সের ক'জন ভোটার জেনেছেন এবং ফর্ম দিয়ে গেছেন।

যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন, আমি নিজে কোনও ফর্ম পূরণ করিনি এবং করবও না।' 
 
শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে মমতা লিখেছেন, 'বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে যে, ‘আমি বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে নিজের হাতে BLO-র কাছ থেকে এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করেছি!’ এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।' 
 
তবে, এসআইআর প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মমতার মঙ্গলের মহামিছিল শেষের বক্তব্য। গোটা বক্তব্য জুড়ে মমতা অভিযোগ করলেন গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। বোঝালেন, কেবল এসআইআর নয়, নানা ভাবে, নানা সময়ে, কীভাবে এক একটি নিয়ম করে, সাধারণ মানুষকে অপদস্থ করছে কেন্দ্র। আর তাতে ফলাফল হয়েছে কী।  তালিকায় যেমন এনআরসি, তেমনই নোটবন্দী, আধারর কার্ড লিঙ্ক। সাম্প্রতিককালে দেশের নানা জায়গায় বাংলায় কথা বলা নিয়ে, বহু বাঙালিকে বাংলাদেশি সন্দেহে ব্যাপক অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে একাধিক। এদিন মমতা বলেন, 'মনে রাখবেন বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয় না। উর্দু বললেই সে পাকিস্তানি না। যে যেখানে কাজ করতে যাচ্ছে সবাইকে বাংলাদেশি বলা হচ্ছে। এই মূর্খ, অর্ধশিক্ষিতদের মাথায় কিছু ছিল না…স্বাধীনতার ইতিহাস এরা জানে না। স্বাধীনতার সময় এরা কোথায় ছিল? আগে তো বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত কিন্তু একই ছিল।'