আজকাল ওয়েবডেস্ক: মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে ভারতের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমে পড়েছিলেন। সেই টানে অবৈধভাবে ভারতে চলে আসেন সীমা হায়দার। বহুদিন পর আবার খবরের শিরোনামে তিনি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সীমা ঘোষণা করেছেন যে তিনি শীঘ্রই ষষ্ঠ সন্তানের মা হতে চলেছেন। যদিও সীমাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মিথিলেশ ভাটি। তিনি বলেন, এর আগে সীমা অভিযোগ করেছিলন যে পাকিস্তানে মহিলাদের বাচ্চা জন্ম দেওয়ার যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখন সীমা ভারতেও তাই করছে।
একজন ইউটিউবারের সঙ্গে কথোপকথনে ভাটি বলেছেন, শচিন এবং সীমার প্রথম সন্তানের বয়স এখনও এক বছর হয়নি। তিনি আবারও গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারিতে তাঁর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাটি আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রশ্ন তোলেন যে, সীমা কি শুধু জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্যই ভারতে এসেছেন?
সীমার আগের স্বামী গোলাম হায়দারের সঙ্গে তাঁর চারটি সন্তান রয়েছে। ছেলে ফারহান আলি (বর্তমানে রাজ নামে পরিচিত) এবং মেয়েরা হল ফারভা (বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা), ফারিহা বাতুল (বর্তমানে মুন্নি) এবং ফারহা (বর্তমানে পরী)। শচীনের সঙ্গে তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম হয় এই বছরের ১৮ মার্চ। শীঘ্রই আরও একটি সন্তানের জন্ম দেবেন তিনি।
সম্প্রতি একটি ভিডিওতে সীমা শর্মাকে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু গর্ভধারণের আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে দেখা গেছে। যা উত্তর ভারতে সাধারণত ‘গোদ ভরাই’ নামে পরিচিত। ভিডিওটিতে দেখা যায়, তিনি একটি কলসি বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং কনের পোশাক পরেছেন। তাঁর চারপাশের মহিলারা নাচছেন ও আনন্দ করছেন।
সীমার জীবন বরাবরই জনসমক্ষে রয়েছে। পাবজি খেলার সময় পরিচয় হওয়া শচীনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের গল্প অনেককে হতবাক করেছে। ২০২৩ সালে চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তান থেকে এসে তিনি নেপালে শচীনকে বিয়ে করেন এবং নয়ডায় বসবাস শুরু করেন। সেখানেই পরিবারটি গত দু’বছর ধরে একসঙ্গে থাকছে। গুপ্তচরবৃত্তির গুজব ছাড়াও প্রাথমিক কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এর ফলে একটি সংক্ষিপ্ত তদন্তও হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, সীমা ও শচীনের জীবন ক্রমাগত মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে চলেছে।
