আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার সকাল। সাত সকালেই কর্মব্যস্ত জীবনে বড় ছন্দপতন। মুহূর্তে বদলে গেল সব। করুণাময়ী আসার পথে, উলটে গেল যাত্রীবোঝাই বাস। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বাসটি বেড়াচাঁপা থেকে করুণাময়ীর দিকে আসছিল।

বাসে বহু যাত্রী ছিলেন, যাঁদের অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনে আসছিলেন শহরে। মাঝরাস্তায় ঘটে বিপত্তি।, রাজারহাট-হাড়োয়া খালে ওই বাসটি উলটে যায় আচমকা, প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য তেমনটাই। 

 

জানা গিয়েছে, বাসটি আসার পথে, আচমকা ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তারপরেই উলটে যায় খালে। ওই সময় বাসে অন্তত ৫০জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অন্তত ৪৬ জন যাত্রী দুর্ঘটনায় আহত, তথ্য তেমনটাই।

 

দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয়রা। হাত লাগান উদ্ধারকার্যে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ক্রেনের সাহায্যে বাসটিকে খাল থেকে তোলার চেষ্টা চলছে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, এরমধ্যে গুরুত্বর জখম ৯ জনকে আরজিকর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকিদের রাজারহাটের রেকজোয়ানি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

 

তবে কীভাবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল সাত সকালে, তা জানা যায়নি এখনও। প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসযাত্রীদের অভিযোগ ড্রাইভার দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খড়িবাড়ি হাড়োয়ার খালে যাত্রী বোঝাই বাস নিয়ে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করলে পরে খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আহত। সাত সকালে অফিস টাইমের এই দুর্ঘটনায় রাজারহাট খড়িবাড়ি রোডে যানজটের সৃষ্টি হয়।

 

পরে উদ্ধার কাজে যোগ দেয় সিভিল ডিফেন্সের বিশেষ বাহিনী। নামানো হয় ডুবুরি দলও। খালের প্রতিটি ইঞ্চি তল্লাশি চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়, কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “হঠাৎই দেখি বাসটা দিক হারিয়ে সোজা খালের মধ্যে ঢুকে গেল। চারিদিকে চিৎকার। আমরা সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের ডেকে উদ্ধার কাজে নেমে পড়ি।”

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অতিরিক্ত গতি এবং  নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার কারণে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তবে পুলিশ বিষয়টিকে তদন্ত করে দেখছে এই ঘটনার পেছনে আরও কোনও বড় কারণ রয়েছে কিনা।