আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বিরূপাক্ষ -এর। নতুন অভিযোগ, বয়েজ হোস্টেলের ডাক্তারদের মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিতেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে থেকে অভিযোগ জমা পড়ে বৌবাজার থানায়। অঞ্জন মন্ডল নামে এক জুনিয়র ডাক্তার মোট তিনজন ডাক্তারের নামে অভিযোগ তোলেন। বিরূপাক্ষ বিশ্বাস একা নন। এছাড়াও আর দুজন ডাক্তার হলেন অভীক দে, রঞ্জিত সাহা।
কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ডাক্তার বিরূপাক্ষকে নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। বর্তমানে সাসপেন্ড অবস্থায় আছেন এই ডাক্তার। তিনি আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ছিলেন। এই বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ছাড়াও প্রাক্তন আরএমও অভীক দে’কে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্যভবন। অভীকের পিজিটি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল একাধিক চিকিৎসক সংগঠন।
অন্যদিকে, বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে তাঁর একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। এমনকী আরজি কর কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি তাঁকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে বদলি করে দেওয়া হয়। এই খবর পেতেই কাকদ্বীপ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-এর অফিসে বিক্ষোভ দেখান।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় স্বাস্থ্য দপ্তরের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। এর পরই স্বাস্থ্যভবন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, আপাতত বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করা হল। তিনি কোথাও কাজে যোগ দিতে পারবেন না পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত।
এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি নাকি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের খাবারের বিল শোধ করেননি। এই অভিযোগ করেছেন কলেজের জয়হিন্দ ক্যান্টিন-এর মালিক শেখ মাখন। তাঁর কথা অনুযায়ী, ডা: বিরুপাক্ষ বিশ্বাসের থেকে তিনি ২৩,৮০০ টাকা পাবেন।
অভিযোগ, এই ক্যান্টিন থেকে নানা সময় বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া ছাড়াও দিনে প্রায়ই চা খেতেন তিনি। সঙ্গে লাগত মিনারেল ওয়াটার। কখনও ডিউটিরত অবস্থায় খেয়েছেন আবার কখনও তাঁর রুমে খাবার পাঠাতে হয়েছে। দামী সিগারেট লাগত তাঁর।
ক্যান্টিন মালিকের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে টাকার জন্য ঘুরতে হচ্ছে। ফোন করলে বিরুপাক্ষ কেটে দিয়েছেন। এমনকী অন্য নম্বর থেকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরতেন না। অথচ দেখা হলে বলতেন, সব মিটিয়ে দেওয়া হবে।
