আজকাল ওয়েবডেস্ক: সল্টলেকের এনজিও থেকে কুকুরদের খাবার আনতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম গৌতম প্রামাণিক। গৌতমবাবুর ছেলের অভিযোগ, বাবাকে কেউ পিটিয়ে মেরেছে! নির্দিষ্ট অভিযোগদের ভিত্তিতে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় পুলিশ ওই এনজিও মালিকের গাড়ির চালক ও তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে।

ঘটনাটি গত ১১ অক্টোবরের। গৌতম প্রামাণিক সায়েন্স-সিটি থেকে মুকুন্দপুর পর্যন্ত পথ-কুকুরকে খাবার দেবার কাজ করতেন। সল্টলেক সেক্টর-৩ এর একটি এনজিও থেকে রোজ সেই খাবার আনতেন। অন্যান্য দিনের মতো ১১ তারিখও রাত ১০টা নাগাদ এনজিও মালিক বলাকা বিশ্বাসের বাড়ি থেকে পথ-কুকুরদের  খাবার আনতে গিয়েছিলেন তিনি।

গৌতম প্রামাণিকের ছেলে বাবিন প্রামাণিকের অভিযোগ, ওই রাতেই তাঁর বাবাকে কেউ মারধর করেছিল। ফলে গৌতমবাবু সংজ্ঞা হারান। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। 
বাবিনের দাবি, এনজিও মালিকের গাড়ির চালক শাহ আব্দুল কবীর তাঁর ববাকে পিটিয়ে প্রাণে মেরেছে।

কোন সন্দেহ থেকে এমন অভিযোগ? বাবিনের কথায়, প্রায়শ তাঁর বাবা গৌতম প্রামাণিকের থেকে টাকা ধার চাইতেন কবীর। এমনকী এনজিও মালিক যে পরিমাণ খাবার কুকুরের জন্য দিতেন তা পুরোপুরি গৌতম বাবুকে দেওয়া হত না। কুকুরদের খাবারের কিছুটা নিয়ে রেখ দিতেন কবীর। টাকা ধার না দেওয়ার রাগে কবীর গৌতম প্রমাণিককে পিটিয়ে মেরে দিয়েছেন। শুধু কবীর নন, তাঁর সঙ্গে আরও তিন জন ছিলেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন বাবিন।  

গত ১৪  অক্টোবর রাতে এনজিও মালিকের গাড়ির চালক শাহ আব্দুল কবীর ও তাঁর সহযোগী সিকেন্দারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। 

রবিবার এসএসকেএম- এ গৌতম প্রামাণিকের ময়নাতদন্তে হয়। কীভাবে খুন হলেন গৌতমবাবু? ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এলেই রহস্য ফাঁস হবে।

আরও পড়ুন- কলকাতার দুই সরকারি বিদ্যালয়ে সাফল্যের মুকুট, বিশ্ব মঞ্চে বাংলার নাম উজ্জ্বল করল যাদবপুরের দুই স্কুল