আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইনের নির্মাণকাজের পথে থাকা একটি বড় বাধা অবশেষে দূর হল মঙ্গলবার। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের অধীনে মেট্রো রেলওয়ে এবং কলকাতায় নেপাল সরকারের কনস্যুলেট জেনারেলের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
এই চুক্তি অনুযায়ী নেপালের কনস্যুলেটের মালিকানাধীন ৪০৯.৫৩ বর্গমিটার জমির বিনিময়ে কলকাতা মেট্রোর ৫২৬.৩৪ বর্গমিটার সংলগ্ন জমি হস্তান্তর করা হবে।
জানা গিয়েছে, এই জমি হস্তান্তরের ফলে অনেকটাই এগিয়ে যাবে পার্পল লাইনের মেট্রোর কাজ। জানা যাচ্ছে, এই মউ স্বাক্ষরের ফলে পার্পল লাইনের প্রস্তাবিত মোমিনপুর-এসপ্ল্যানেড লাইনে মাটির তলার অংশের নির্মাণকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে।
বিশেষ করে মোমিনপুর ও খিদিরপুরের মধ্যবর্তী ব়্যাম্প নির্মাণের জন্য ৪০৯.৫৩ বর্গমিটারের এই জমিটি অত্যন্ত জরুরি ছিল। ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে নেপালের বিদেশমন্ত্রক, ভারতের বিদেশমন্ত্রক, মেট্রো রেলওয়ে ও আরভিএনএলের একাধিক বৈঠক হয়েছিল কাঠমাণ্ডু, নয়া দিল্লি এবং কলকাতায়।
বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল জমি বিনিময় নিশ্চিত করা। জানা গিয়েছে, একাধিক দফায় আলোচনার পর নেপাল সরকার জমি বিনিময়ে সম্মতি জানায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, কলকাতা মেট্রোর এই প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ ঘিরে একাধিক বাধা তৈরি হয়েছিল।
বহু ভাড়াটে, দোকানদার ইত্যাদি জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্ট এবং পরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। তবে তিন বছর ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের পর সব মামলারই নিষ্পত্তি হয় এবং প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
সোমবার মউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতার ভিক্টোরিয়া স্টেশনের সাইটে অবস্থিত আরভিএনএল মডেল রুমে। উপস্থিত ছিলেন নেপালের কনস্যুলেট জেনারেল শ্রী ঝাক্কা প্রসাদ আচার্য, মেট্রো রেলওয়ের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার (হেড অফিস) শ্রী এস কে দুবে, আরভিএনএলের চিফ প্রোজেক্ট ম্যানেজার শ্রী বিপিন কুমার এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের ডিরেক্টর ও ব্রাঞ্চ সেক্রেটারিয়েট প্রধান শ্রী আশীষ মিঢা।
মঙ্গলবার সকালে ফের মেট্রোয় সমস্যা। জানা গিয়েছে, সিগন্যালিংয়ের সমস্যার জন্য দক্ষিণেশ্বর থেকে দমদমের মধ্যে দেরিতে চলছে মেট্রো পরিষেবা।
মঙ্গলবার সকালে ফের মেট্রোয় সমস্যা। জানা গিয়েছে, সিগন্যালিংয়ের সমস্যার জন্য দক্ষিণেশ্বর থেকে দমদমের মধ্যে দেরিতে চলছে মেট্রো পরিষেবা।
কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, লাইনে রাত্রিকালীন পরিদর্শনের সময় কলকাতা মেট্রোর কর্মীরা বারানগর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত লাইনের মাঝেই একাধিক জায়গায় কিছু সিগন্যালিংয়ের তার কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
সে কারণেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে অটোমেটিক সিগন্যালিং পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নতুন কেবিল বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে।
