আজকাল ওয়েবডেস্ক: আলোচনার জন্য বার্তা দিয়ে পাঠানো হয়েছিল মেল। নবান্নে অপেক্ষা করছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু শেষপর্যন্ত এলেন না আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে শেষপর্যন্ত নবান্ন ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠক থেকে এ কথা জানালেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে চেয়ে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে একটি মেল করা হয়। মেলটি করেছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। এ দিন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সন্ধ্যা ছ'টা দশ নাগাদ সেই মেল করা হয়। সেখানে সর্বোচ্চ ১০ জনকে ডাকা হয় সরকারের সিনিয়র পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার জন্য।
এ দিন সন্ধ্যায় এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'বিকেল ছ'টার পর জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় যদি তাঁরা চায় তবে তাঁরা সরকারের একেবারে শীর্ষস্তরে কথা বলতে পারেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ মেলও করেন। ১০ জন প্রতিনিধি আসার কথা বলা হয়েছিল সেই মেলে। নিজে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জন্য রাত্রি ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের থেকে কোনও খবর বা মেল-এর উত্তর আসেনি।'
অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা মনে করছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিবের থেকে আসা এই মেল তাঁদের জন্য 'অপমানজনক'। তাঁদের কথায়, যেভাবে মেইল এসেছে সেখানে সাড়া দেওয়ার মতো জায়গা নেই। নবান্ন থেকে কোনও মেইল আসেনি, এসেছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে। পাশাপাশি, তাঁদের দাবি না মানলে তাঁরা আলোচনায় যাবেন না। দাবি মানা হলে তাঁরা আলোচনায় বসার কথা ভাবতে পারেন।
