আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ কসবায় ফের চলল গুলি। বুধবার গভীর রাতে কসবার বোসপুকুরের প্রান্তিক পল্লি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। 


জানা গেছে, কসবা থানা এলাকার বোসপুকুর প্রান্তিক পল্লি এলাকায় রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ শোনা যায় গুলির শব্দ। গুলিবিদ্ধ যুবক অভিজিৎ নাইয়া ওরফে নিগ্রো (২০)। বোসপুকুর প্রান্তিক পল্লির বাসিন্দা সে। নাইয়ার দাবি, রাত প্রায় ১১টা নাগাদ বাড়ির কাছে খালপাড়ে দুই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী মোটরসাইকেলে এসে তাকে বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেয়। আত্মরক্ষার জন্য বন্দুকটি কেড়ে নিতে গেলে গুলি লাগে তার হাতে। 
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধার করে একটি খালি কার্তুজ। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পুলিশ তল্লাশি শুরু করতেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। 


পুলিশ ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে ও সাক্ষ্যপ্রমাণ মিলিয়ে দেখার পর অভিজিতের কথায় অসঙ্গতি রয়েছে বলে বুঝতে পারে। টানা জিজ্ঞাসাবাদে অভিজিৎ নাইয়া ভেঙে পড়ে। স্বীকার করে নেয় যে ‘‌বাইক–চালানো দুষ্কৃতী’‌ গল্পটি বানানো।


আসল গল্প কী?‌ লালবাজার সূত্রে খবর, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, একটি নাইন এমএম পিস্তল তার ও দুই বন্ধুর কাছে ছিল দীর্ঘদিন ধরে। বুধবার রাতে অস্ত্র হাতবদল করার সময় অসাবধানতায় গুলি ছুটে যায় এবং তা তার নিজের হাতেই লাগে।


গ্রেপ্তার করা হয় অভিজিৎ নাইয়াকে। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, অভিজিৎকে গ্রেপ্তারের পর তার কথায় সূত্র ধরে পুলিশ হানা দেয় নস্করহাট মধ্যপল্লিতে। সেখান থেকে বাবাই (৩৩) নামে অভিজিতের এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় পিস্তলটি। যা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে আরেক সহযোগী এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। 


পুলিশ সূত্রে খবর, এসব অস্ত্রের হাতবদল নিয়ে এলাকায় কয়েকজন যুবকের সক্রিয়তা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। আপাতত খতিয়ে দেখা হচ্ছে অস্ত্রটির উৎস কোথায় এবং এর সঙ্গে কোনও বড় চক্র যুক্ত আছে কি না।