আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর মরশুম। এই সময় কলকাতার কুমোরটুলিতে থাকে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। দুর্গার পাশাপাশি গণেশ ও বিশ্বকর্মার মূর্তি তৈরি করতে গিয়ে দম ফেলার সময় পাননা শিল্পীরা। এবছর কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্পীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বৃষ্টি। খামখেয়ালি বৃষ্টিতে সময়মতো প্রতিমা শুকনো যাচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন শিল্পীরা। ফলে তাঁদের মূর্তি তৈরিতে দেরী হচ্ছে। সময়মোত প্রতিমা মণ্ডপে মণ্ডপে পৌঁছে দেওয়া নিয়েও যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন মৃৎশিল্পীরা।
যদিও এই অবস্থায় শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার। তাঁদের বিনামূল্যে প্ল্যাস্টিক দিয়ে গিয়েছেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। এমনটাই জানিয়েছেন শিল্পীরা। চলতি বছরে কুমোরটুলিতে অনেকটাই কম ফোটোগ্রাফারদের আনাগোনা। শিল্পী পাড়ায় বড় একটা দেখা যাচ্ছে না ব্লগারদেরও।
এই প্রসঙ্গ উঠতেই কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সংস্কৃতির সম্পাদক সাফ জানালেন, কুমোরটুলি শিল্পীদের আলাদা করে কোনওরকম প্রচারের আলোর প্রয়োজন হয় না। তাই ফোটোগ্রাফার আর ব্লগারদের আসা বা না আসার প্রভাব কুমোরটুলির ব্যবসায় পড়ে না। যদিও শিল্পীদের একাংশের মতে, কাজের ফাঁকে ফোটোগ্রাফার ও ব্লগারদের আসাযাওয়াটা কুমোরটুলিতে পুজোর আমেজটা আরও বেশি করে নিয়ে আসে। পাশাপাশি বাড়তি পাওনা থাকে প্রচার।
শিশির ভেজা ভোরে শিউলির গন্ধ। আর কাশফুলের দেখা মিললেই কুমোরটুলিতে শুরু হয় ব্যস্ততা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কুমোরটুলিতে আনাগোনা বাড়ে ফোটোগ্রাফার ও ব্লগারদের। শিল্পীদের দুয়ারে দুয়ারে উপস্থিতি লক্ষ্যনীয় হয়ে ওঠে সাংবাদিকদেরও। মুর্তি গড়ার ফাঁকে ফাঁকেই জ্বলে ওঠে ফ্ল্যাশলাইটের আলো। একইসঙ্গে চলতে থাকে শিল্পীদের থেকে ইন্টারভিউ নেওয়ার পর্বটাও। সবমিলিয়ে পুজোর আগে কুমোরটুলিতেই প্রথম শুরু হয় উৎসবের মরশুম।
তবে এবছরের ছবিটা একটু হলেও ভিন্ন। বৃষ্টি ও ব্যবসায় মন্দা স্বাভাবিকভাবেই তাল কেটেছে পুজোর আগে কুমোরটুলির চেনা ছন্দে। শিল্পীপাড়ায় প্রতিমা গড়ার কাজ চলছে। ঘনিয়ে আসছে বোধনের দিন। তবুও চলতি বছরে কোথাও যেন তাল কেটেছে। আগমনীর সুর নয়, বিষাদগ্রস্ত শিল্পীমনও। তাই বোধহয় প্রাক উৎসবের সেই আমেজটা এবার ছুঁতে পারেনি কুমোরটুলিকেও।
