আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্ভাবনা ছিল। প্রস্তুতি ছিল সেই হিসেবেই। তবে বৃহস্পতিবার সেই সম্ভাবনা-জল্পনায় সিলমোহর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্ট করে হয়। তাতে লেখা হয়েছে, 'কলকাতার মানুষের সঙ্গে থাকতে পারা সবসময়ই আনন্দের, কারণ এই শহরের উন্নয়নের জন্য আমরা অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামিকাল শহরের কর্মসূচিগুলি মূলত যোগাযোগের উপর আলোকপাত করবে।'
তার সঙ্গেই ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, 'যে মেট্রো পরিষেবাগুলির উদ্বোধন করা হবে তার মধ্যে রয়েছে, নোয়াপাড়া-জয় হিন্দ বিমানবন্দর, শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড এবং বেলেঘাটা-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় রুট। বিমানবন্দরের সঙ্গে এবং আইটি হাব অঞ্চলগুলিতে যোগাযোগ উন্নত করা হবে।'
এই তিন রুটের মেট্রো উদ্বোধনে মোদি আসছেন শহরে সেই জল্পনা ছিলই। তা তুঙ্গে ওঠে ১৩ আগস্ট মেট্রো রেলের একটি বিবৃতিতে। যদিও মোদির বঙ্গ-সফর তখনও সম্ভাবনাময় বলেই উল্লেখ করা হয়েছিল। সেদিন জানা যায়, ২২ আগস্ট, নোয়াপাড়া থেকে জয়হিন্দ পর্যন্ত নবনির্মিত ইয়লো লাইন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে বেলিয়াঘাটা পর্যন্ত অরেঞ্জ লাইন এবং গ্রিন লাইন- ১ ও ২ অর্থাৎ শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধনের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। ১৩ আগস্টই মেট্রোর তরফে জানানো হয়, কর্মীদের কী কী করণীয় ওই বিশেষ দিনের জন্য।
২০২৪ সালেই সূচনা হয়ে গিয়েছে গঙ্গার তলায় মেট্রো চলাচল। অন্যদিকে মেট্রো ছুটছে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত। তাতে বহু মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে। তবে বউবাজার অংশে নানা সমস্যার কারণে দীর্ঘকাল থমকে ছিল ওই অংশের কাজ। তবে এবার শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড লাইনের উদ্বোধন হয়ে গেলে, হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রোতেই যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। তাতে সময় বাঁচবে বহু। নিত্যযাত্রীদের যাতায়াতে আর একাধিকবার পরিবহন বদল করতে হবে না। এক মেট্রোতেই শহরের এক প্রান্ত থেকে পোঁছে যাওয়া যাবে অন্য প্রান্তে।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনের নাম করণ করা হয়েছে জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশন নামে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর মেট্রো লাইন উদ্বোধনের পর যশোর রোড থেকে জয় হিন্দ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মেট্রোয় চড়ে যাবেন বলেও খবর সূত্রের।
মেট্রো উদ্বোধনের পর থেকেই নজরে ছিল, ভাড়া প্রসঙ্গে। সূত্রের খবর, ন্যূনতম পাঁচ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে নয়া লাইনের মেট্রোর ভাড়া। কোথা থেকে কোথায় যেতে কত টাকার টিকিট কাটতে হবে?
প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সূত্রের তথ্য-
বিমান বন্দর থেকে যশোর রোড যেতে ভাড়া- ৫টাকা।
বিমান বন্দর থেকে নোয়াপাড়া যেতে ভাড়া- ২০টাকা
বিমান বন্দর থেকে চাঁদনি চক যেতে ভাড়া- ৪০টাকা
বিমান বন্দর থেকে এসপ্ল্যানেড যেতে ভাড়া- ৪০টাকা
বিমান বন্দর থেকে কবি সুভাষ যেতে ভাড়া- ৪৫টাকা
বিমান বন্দর থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন যেতে ভাড়া- ৫০টাকা
বিমানবন্দর থেকে হাওড়া যেতে ভাড়া- ৫০টাকা
বিমানবন্দর থেকে সেক্টর ফাইভ যেতে ভাড়া- ৭০ টাকা
বিমানবন্দর থেকে করুণাময়ী যেতে ভাড়া- ৭০টাকা।
It is always a delight to be among the people of Kolkata, a city whose development we are greatly committed to. Tomorrow’s programmes in the city are mainly focussed on connectivity. The metro services, which will be flagged off, include Noapara–Jai Hind Bimanbandar,… pic.twitter.com/TllICNkwO6
— Narendra Modi (@narendramodi)Tweet by @narendramodi
একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, তালিকায় মেট্রোপথের বাইরেও আরও একটি পথ-এর উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পথটি হল ভূগর্ভস্থ পথ বা সাবওয়ে। হাওড়া মেট্রো স্টেশনের এই সাবওয়েটি নির্মাণ করা হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে। এর ব্যবহার শুরু হলে খুবই উপকৃত হবেন পূর্ব রেল ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের যাত্রীরা। প্রয়োজনমতো তাঁরা অতি সহজেই এই সাবওয়ের মাধ্যমে পৌঁছে যাবেন হাওড়া মেট্রো স্টেশনে।
