আজকাল ওয়েবডেস্ক: বার এবং রেস্তোরাঁ ও ড্যান্স বারের আড়ালে চলা অসাধু চক্রের পর্দাফাঁস করল তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এই অসাধু ব্যবসা চক্রের তদন্তে নেমে রাজ্যের একটি বার কাম রেস্তোরাঁ এবং ড্যান্স বারে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত শুক্রবার কলকাতা জোনাল অফিসের নেতৃত্বে ইডি একাধিক স্থানে ম্যারাথন তল্লাশি চালায়।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযানে ১.০১ কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থ, একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস ও সম্পত্তির নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজনদের ব্যবহৃত ও পরিচালিত একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।
ইডি সূত্রে খবর, প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় দুটি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার এবং একটি জাগুয়ার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, রেস্তোরাঁ এবং ড্যান্স বারের আড়ালে নারী পাচার চলত। এমনকি, বেআইনি ভাবে আর্থিক লেনদেনও চলত। ইডি সূত্রে খবর, তদন্ত এখনও চলছে এবং একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে।
অন্যদিকে, সম্প্রতি দেশজুড়ে কাফ সিরাপ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চেন্নাইয়ের সাতটি জায়গায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তল্লাশি চালায়।
জানা যায়, এইসব জায়গার সঙ্গে যোগ রয়েছে স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের। এই সংস্থাই বিষাক্ত ‘কোল্ড্রিফ’ সিরাপ তৈরি করেছিল এবং এই ওষুধ খেয়েই মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে প্রায় দু’ডজন বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তামিলনাড়ুর সিনিয়র ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসারদের বাড়িতেও অভিযান শুরু করেছে। ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ফার্মা কোম্পানির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক রঙ্গনাথন গোবিন্দনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
‘কোল্ড্রিফ’ কাশির সিরাপে ‘বিপজ্জনক’ ভেজাল পাওয়া গিয়েছে, যা একটি অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ। তদন্তে স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের তামিলনাড়ু প্ল্যান্টে ৩৫০ টিরও বেশি নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে, যার মধ্যে ৩৮টি গুরুতর।
২০১১ সালে তামিলনাড়ু ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত, কাঞ্চিপুরম-ভিত্তিক এই ফার্মা কোম্পানিটি তার দুর্বল পরিকাঠামো এবং জাতীয় ওষুধ সুরক্ষা বিধির একাধিক লঙ্ঘন সত্ত্বেও এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) জানিয়েছে।
২০১৬ সালে নবীকরণ করা লাইসেন্সটি তামিলনাড়ু এফডিএ-র তরফে দেওয়া হয়েছিল এবং সিডিএসসিও এতে জড়িত ছিল না বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু এবং দিল্লি-সহ অনেক রাজ্য ‘কোল্ড্রিফ’ সিরাপটি নিষিদ্ধ করেছে। তামিলনাড়ু সরকার সংস্থাটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে এবং বলেছে যে, তারা শীঘ্রই কোম্পানির লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
