আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুজো এসেছিল, পুজো কেটে গিয়েছে। কিন্তু পুজোর আনন্দ আশঙ্কায় বদলে গিয়েছে কয়েকদিনের মাথায়। কালীপুজোর আগেই দুর্যোগের মেঘ বাংলার আকাশে। ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ডানা। বৃহস্পতির রাত কিংবা শুক্রবার সকালের মধ্যেই শক্তশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আছড়ে পড়বে সেটি। স্বাভাবিক ভাবেই আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন। দুই মেদিনীপুর, দুই পরগনায় তৎপরতা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার নবান্নয় রাত জাগবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তৈরি হয়েছে বড় অঙ্কের ত্রাণ শিবির। এসবের মাঝে অন্য ভাবনা ভাবছেন কয়েকজন। বিপন্নদের পাশে দাঁড়াতে বড় ভাবনা।

কী ভাবছেন? ভাবনা পুজোর ব্যানারকেই ত্রিপল জাতীয় আচ্ছাদনে পরিণত করা। পুজোর পর ব্যানার শহরের দৃশ্য দূষণ ঘটায়। ব্যানার খোলার ব্যাপারে আর কেউই গা করেন না অনেক সময়। সেই সমস্ত ব্যানার একত্রিত করে চলছে সেলাই। জুড়ে দিয়ে তৈরি হবে ত্রিপল। বিপন্ন মানুষের কাছে তা পৌঁছাবে মেঘদূতম ফাউন্ডেশনের হাত ধরে। শগুনা মুখার্জি এই উদ্যোগ নিয়েছেন দুর্যোগের আবহে।


অর্থাৎ পুজোর ব্যানারকেই এবার মানুষের মাথার ছাদ হিসাবে ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তুলছে শহরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেঘদূতম ফাউন্ডেশন । কীভাবে? বিজ্ঞাপন দেওয়া ব্যানারগুলিকে একের পর এক সেলাই করে তৈরি হচ্ছে  এিপলের  মতন আচ্ছাদন । ডানার দাপটে বিপর্যস্ত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে । কোথায় চলছে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের কাজ? আপাতত বড় বাজারে ত্রিপল পট্টিতেই চলছে এই কাজ । 


কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ ১৫টি ছোট বড় পুজো কমিটি নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে পৌঁছে দেন শগুনার কাছে ফ্লেক্স। তেমনটাই জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল থেকেই গাড়ি বোঝাই করে চলে ফ্লেক্স জোগাড়ের কাজ। জোর কদমে বড়বাজারে চলছে কাজ। বৃহস্পতিবার ল্যান্ডফল হওয়ার কথা, তাঁর আগেই আচ্ছাদন তৈরির কাজ শেষ হবে। সেইসব আচ্ছাদন বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে পৌঁছে যাবে, বিপন্নদের সহায়তায়।