আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে ভাঙচুরের ঘটনা আরজি কর হাসপাতালে। আর বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি সেরেই হাসপাতালে যান তিনি। পড়ুয়াদের সঠিক বিচারের আশ্বাস দেন। জানান, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবেই।





হাসপাতালে গিয়ে জুনিয়র চিকিৎসক এবং আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। পড়ুয়াদের প্রশ্ন ছিল, খুনের ঘটনা ঘটল, তারপর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। আদৌ কী কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে? রাজ্যপাল বলেন, 'আমরা রয়েছি আপনাদের সঙ্গে। এর বিচার হবেই।' এরপর রাজ্যপাল চলে যান এমার্জেন্সি বিভাগে।




প্রসঙ্গত, মহিলাদের 'রাত দখল'-এর দিনেই বিপত্তি ও গন্ডগোল। আর জি কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে একদল দুষ্কৃতী এসে ভাঙচুর করল। ভিতরে ঢুকে তারা ভাঙচুর করে। আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যম। এদের আটকাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে এদের খণ্ডযুদ্ধ চলে।



একটি মিছিল আর জি কর হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে এলাকার একদল যুবক এসে হাসপাতালে ভাঙচুর করে। বাইরে জমায়েতের সুযোগ নিয়ে এই তাণ্ডব করে এই দুষ্কৃতীরা। এদিন আন্দোলনকারীদের মঞ্চ ভেঙে দেয় এই দুষ্কৃতীরা। তাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।



এরপর তারা হাসপাতালে গিয়ে ভাঙচুর করে। হাসপাতালে বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস চালায়। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন দিক থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছুড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ পাল্টা মারমুখি হয়ে ওঠে। ঘটনার জেরে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।


এরপর যারা আর জি কর হাসপাতালে ফের নতুন করে জামায়েত হয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য ফের লাঠি আর কাঁদানে গ্যাস চালায় পুলিশ। গোটা এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে আসেন সিপি বিনীত গোয়েল। তার সঙ্গে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর সিপিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষরা। তবে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সকলকে সরিয়ে দেয়।