আজকাল ওয়েবডেস্ক: বছরের শেষে রাজ্যবাসীকে বিরাট উপহার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। এবার থেকে ৩৬৫ দিনই দুর্গাপুজোর আবহ তৈরি হবে শহরের বুকে। বারোমাস পূজিত হবে দেবী দুর্গা। ঢাকের তালে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জমজমাট হয়ে উঠবে শহর।
আজ সোমবার নিউটাউনে 'দুর্গা অঙ্গন'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর কথায়, এই 'দুর্গা অঙ্গন' রাজ্যের মুকুটে আরও এক পালক। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিউটাউনে ১৭.২৮ একর জমিতে স্থাপন করা হবে এই 'দুর্গা অঙ্গন'। বিশ্বের বৃহত্তম 'দুর্গা অঙ্গন' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এটি। ৩৬৫ দিন খোলা থাকবে। ৩৬৫ দিন পূজিত হবে মা দুর্গা।
নিউটাউন বাস স্ট্যান্ডের বিপরীতে অ্যাকশন এরিয়া–ওয়ানে তৈরি হবে এই 'দুর্গা অঙ্গন'। যার জেরে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের এখানে আসতে বিশেষ অসুবিধা হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। দিনে দশ লক্ষ দর্শনার্থী আসতে পারবেন 'দুর্গা অঙ্গন'-এ। সারাবছর মা দুর্গার পুজো হবে। এর হাত ধরেই কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। তীর্থক্ষেত্রের আশেপাশে প্রচুর কেনাবেচা হয়। অনেক দোকান হবে। কারুশিল্পীরা সুযোগ পাবেন। সংস্কৃতি জগতেরও কর্মসংস্থান বাড়বে। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।'
'দুর্গা অঙ্গন'-এ রয়েছে আরও চমক। মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, '১০৮টি দেবদেবীর মূর্তি ও ৬৪টি সিংহ মূর্তি বসবে এখানে। ২০ ফুট চওড়া ঘোরার পথ তৈরি হচ্ছে। শিব, কার্তিক ও সরস্বতীর আলাদা মন্দির তৈরি হবে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ট্রাস্ট দেখভাল করবে। মন্দিরের উঠোনে এক হাজার দর্শনার্থী বসতে পারবেন।'
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জগন্নাথ ধামে গতকাল এক কোটি দর্শনার্থী এসেছিলেন। 'দুর্গা অঙ্গন'-এও জমজমাট ভিড় হবে বলেই দাবি করেছেন তিনি। এদিন নিউটাউনে আরও বড় চমক ছিল। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, 'জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে মহাকাল মন্দিরের শিলান্যাস করা হবে। গঙ্গাসাগরেও কংক্রিটের সেতু তৈরি হচ্ছে। আর জল পেরিয়ে কাউকে যেতে হতে হবে না। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য এক পয়সাও দেয় না কেন্দ্র। গঙ্গাসাগর সেতুর জন্য এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা খরচ হবে। আগামী ২ বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে সেতু।'
মমতা আরও বলেন, 'সব ধর্মকে ভালবাসতে হবে। আমি সব ধর্মকে ভালবাসি। গুরুদ্বারে যখন যাই, তখন মাথায় চাদর দিই। রোজায় গেলে বলো কেন? আমি আজ এখানে এসেছি তাই গায়ে চাদর জড়িয়ে নিয়েছি।'
