আজকাল ওয়েবডেস্ক: এই রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যাই বলে থাকুন না কেন, গত কয়েকদশকের রাজনীতিতে মমতা ব্যানার্জির উত্থান, অবস্থান, কার্যকলাপ বিশ্বের কাছে বিষ্ময়। বারেবারে প্রমানিত হয়েছে তা। দেশে- বিদেশে তাঁকে নিয়ে আলোচনা, আলোচনা তাঁর সরকারের একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েও। কোথাও প্রশস্তি, কথাও পুরস্কার।
দিনকয়েক আগেই জানা গিয়েছিল, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে তাঁর আরও কর্মসূচি রয়েছে বলেও জানা গিয়েছিল। তবে এসব ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হয় কেন্দ্রের ছাড়পত্রের। মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশসফরের ক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রকের অনুমতি নিতে হয়।
বুধবার জানা গেল, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর লন্ডন সফরে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ এক দশক পর, ফের লন্ডনে মমতা। এর আগে ২০১৫ সালে তিনি লন্ডনে গিয়েছিলেন। এর মাঝেও একবার অক্সফোর্ড ইউনিয়ন থেকে আমন্ত্রণ এসেছিল বাংলায়, তবে ওই অনুষ্ঠান স্থগিত হয়েছিল। ঠিক একদশক পরে, সেই অক্সফোর্ডেই বক্তব্য রাখবেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহের বিদেশ সফরে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রওনা দেবেন ২১ মার্চ। কলকাতা থেকে দুবাই, দুবাই থেকে পৌঁছবেন লন্ডনে। ২৫ মার্চ লন্ডনের বাণিজ্য বৈঠকে যোগ দেবেন। বাংলায় বিনিয়োগ-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করবেন শিল্পপতিদের সঙ্গে, জানা গিয়েছে তেমনটাই। ২৭ মার্চ বক্তৃতা দেবেন অক্সফোর্ডে।
জানা গিয়েছে সেখানকার পড়ুয়া-শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সামনে তাঁর রাজনৈতিক জীবন, উত্থান, তাঁর সময়কালে নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ, নানা সামাজিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরবেন বক্তৃতায়, মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কথা বলেন নারী অধিকার, লিঙ্গ রাজনীতি নিয়ে। ২৯ মার্চ তিনি ফিরবেন কলকাতায়। উল্লেখ্য, একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে ২০২৩ সালে স্পেনে গিয়েছিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।
